পটুয়াখালী সংবাদদাতা,১৪ নভেম্বর : পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজারের ছয় ব্যবসায়ীকে তাদের কবলাকৃত জমি থেকে উচ্ছেদের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক মিনু মেম্বার ও তার ভাই মোশারেফের বিরুদ্ধে। তাদের অব্যাহত হুমকি-ধামকি আর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ওই ছয় ব্যবসায়ীসহ অন্যরাও। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিনু মেম্বার বাউফলের স্বামীর বাড়ী থেকে পিতার উপজেলায় এসে নিয়মিত বিভিন্ন পেশার মানুষকে হয়রানি করে আসছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছি। আচমকা মুরাদিয়া এলাকার ত্রাস মিনু মেম্বার গংদের আমাদের ৬টি দোকানের উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে। ২০১৮ সালের ০৯ আগস্ট তারিখে তিন লক্ষ টাকায় পাঁচ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং দুমকি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কবলা রেজিস্ট্রি করা হয় (দলিল নং-৭৩৬)। দুমকি উপজেলার উত্তর মুরাদিয়া মৌজার জেএল নং-২৭, বি.এস. খতিয়ান নং-৬৫৬ রেকর্ডীয় মালিক নুরুল ইসলাম হাওলাদারের কাছ থেকে ভোগ দখলীয় জমি ক্রয় করা হয়। বি.এস. দাগ নং-৩৬৪৪। বৈধ কাগজপত্রের অনুকূলে অদ্যাবধি আমরাই ভোগদখল করে আসছি। এরইমধ্যে ওই জমির ওপর মিনু মেম্বারের কু-দৃষ্টি পরায় বিভিন্নভাবে হামলা-মামলা এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে আসছে। বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এখন আবার সেই আলোচিত মিনু মেম্বার মিথ্যে নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং আমাদের অহেতুকভাবে ফাঁসানোর জন্য দুমকী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নতুন নাটক সাজাচ্ছেন। তিনি হাসপাতালে ২২ দিন যাবৎ ভর্তি থাকলেও হর-হামেশাই যাচ্ছেন বাইরে। আবার রোগী হয়ে ভর্তি থাকলেও সুস্থ থাকায় বাইরে গিয়ে নিজস্ব লোকজনের সঙ্গে গল্প-গুজব করছেন বলেও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বরাত দিয়ে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হক জানান, সুস্থ মানুষ ভর্তি হয়েছে। রোগী হিসেবে তিনি রেকর্ডভুক্ত থাকলেও তিনি বাহিরে ঘোরাফেরা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জেনে এর ব্যবস্থা নেব। অভিযুক্ত মিনু মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে হয়রানি করিনি, আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তা মেনে নেব।