বিপুল কর্মকার, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরবোরহান ইউনিয়নের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডুবচরের মতো জোঁয়ারের পানিতে ডুবে যায় আবার ভাটার সময় জেগে ওঠে।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে যানাযায়, উপজেলার চরবোরহান ইউনিয়নের চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরশাহজালাল আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ বছর ধরে বর্ষার মৌসুমে জোঁয়ারে সময় জোঁয়ারের পানিতে দুই-আরাইফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। আবার ভাঁটার সময় পানি মুক্ত হয়।বিশেষ করে অমাবশ্যা এবং পুর্নিমার জোঁয়ারের পানির চাপ বেশি থাকে, তখন বিদ্যালয় দুটি পানি মুক্ত হওয়ার সময় আরো দীর্ঘ হয়।এতেশিক্ষক শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠনে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পানির মধ্যেদিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যওয়া করতে প্রায়ই পোশাক ভিজে যায়,এবং ভেজা কাপড়েই তাদের ক্লাস করতে হয়। ক্লাস রুমের মধ্যে পানি জমে থাকার কারনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেঞ্চের ওপরে পা রেখে লেখাপড়া করতে হয়। চরশাহজালাল আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম বলেন,সকালে বিদ্যালয়ে এসে তিনি দেখতে পান তেতুলিয়া নদীর জোঁয়ারের পানিতে বিদ্যালয়টি তলিয়ে গেছে। শ্রেনিকক্ষে পানি ঢুকে চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে।
চরবোরহান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, জোঁয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় বিদ্যালয়ে আসা শতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পরতে হয়েছে তাদের। ক্লাসরুমে পানির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয়।দশমিনা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা খালিদ হোসেন বলেন, চরবোরহান ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমে জোঁয়ারের পানিতে দুটি বিদ্যালয় ডুবে যায়। বিদ্যালয় দুটিতে নতুন ভবন নিমার্ন হবে,তাই সংস্কারের সুযোগ নাই। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরবোরহান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজির আহম্মেদ সরদার বলেন, চরবোরহান ইউনিয়নে ভেড়ীবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তেঁতুলিয়া নদীর জোঁয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় চরাঞ্চল। পুর্নিমার জোঁয়ারের কারনে তেঁতুলিয়া-বুড়াগৌরঙ্গ নদীর পানি বাড়ছে, সে কারনে বিদ্যালয়সহ চরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা তিন থেকে চার ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হিটলারুজ্জামান বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয় দুটি অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যাবস্থা করা হবে।