পূর্বধলা থেকে : দীর্ঘ চার যুগ পর পুর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের যাত্র শুরু হল। হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মত সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক প্রসুতি মা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। এ খবরে উপজেলাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে, স্যোসাল মিডিযায় সংবাদটি প্রচারের পর অনেকে স্বগত জানিয়েছে।
রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান ওটি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খবিরুল আহসান। প্রথমদিন রোববার দুপুরে মাহাবুব জান্নাত তামান্না (২০) নামের এক প্রসুতিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনটি সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তার একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ধ্রুব সাহার সার্বিক তত্তাবধানে ওটি পরিচালনা করেন ডা. চৌধুরী ফাইজা বিনতে হোসেন। এ্যানেসথিশিয়ায় ছিলেন ডা. আফসানা হোসেন।
প্রসুতি তামান্নার বাবার বাড়ী উপজেলার সোনাইকান্না গ্রামে এবং স্বামীর বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল উপজেলার দেওআটি গ্রামে। নবজাতক ও প্রসুতি দুজনই সুস্থ্য আছেন।
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালুর দীর্ঘ চার যুগ পর প্রথমবারের মত সিজারিয়ান ওটি কার্যক্রমের যাত্র শুরু হওযায় একাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তামান্নার স্বামী মুফতি আব্দুল লতিফ জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ পেয়ে তিনি খুব খুশি। তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবু হাসান শাহীন জানান হাসপাতালটি ৫০ শষ্যা উন্নীত হওযার পর প্রথম সিজারিয়ান অপারেশন চালু হলো। এর মাধ্যমে উপজেলা বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পুরণ হলো এখন থেকে এই কার্য়ক্রম চালু থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। এখন থেকে সিজারিয়ান অপারেশনের শুভ যাত্র শুরু হলো এবং এলাকার প্রসুতি মায়েরা এর সুফল ভোগ করবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খবিরুল আহসান বলেন এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গর্ভবতী মহিলাদের সিজারের জন্য সুদুর ময়মনসিংহে যেতে হতো। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো রোগীর পরিবারকে । বর্তমান সরকারের বাস্তবমুখী উদ্যোগের কারণে আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
উল্লেখ্য স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থাকলেও পরবর্তীতে ২০০৫ সালের পর হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সিজারিয়ান অপারেশন চালু ছিল না।