হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে ভাতিজা আলমগীর(৩০) ও ভাতিজী নাদিরা আক্তার(২১) এ দু’জন খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাচা আ:কাদির খুন করেই পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর কুড়িমারা গ্রামেএ ঘটনা ঘটে। জানা যায় বাড়ির সীমানার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পিতা শামছুদ্দিন জানায়; আমার ভাই আব্দুল কাদির বুধবার বিকালে চারটি গাছ ভেংগে ফেলে এ ঘটনার মোবাইল ফোনে আমার সন্তানদের জানানো হলে আমার আরেক ভাই মোছলেহ উদ্দিন কাদিরকে জানিয়ে দেয়; পরে এ ঘটনায় ভাই আ:কাদির ও ভাতিজা ইমরান ও আরমান আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসলে আমার সন্তানরা এগিয়ে গেলে নুর হোসেনের বাড়ির পাশে আলমগীরকে কুপিয়ে হত্যা করে।চোখের সামনে আমারই ভাই ভাতিজাকে এভাবে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করবে আমি ভাবতে পারি নাই। তিনি দু:খ করে বলেন; কার কাছে বিচার চাইবো;এ কথা বলেই তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় নিহতের মা শাহিদা আক্তার, নাদিরা আক্তার, ভাই হুমায়ুন কবির ও সালমানসহ এ তিনজন কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত হলে তাদেরকে সেখানে ভর্তি করানো হয় সেখানে নেওয়ার পর নাদিরার অবস্থা আশংকাজনক হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় নাদিরার মৃত্যু হয়। সে কিশোরগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো। এ ছাড়াও মা শাহিদা আক্তার, ছেলে হুমায়ুন কবির ও সালমান এ তিন জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকেও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রাসেল শেখ,হোসেনপুর থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) মো:শাহীন মিয়া, এসআই সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ঘটনা স্থলে ছুটে যান। সেখান থেকে পুলিশ রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেছে। সুরতহাল শেষে এসআই শাহীন মিয়া জানায়; লাশের বাম কানের পিছনের দিকে ৫ইঞ্চি গভীর ক্ষতের চিহৃ পাওয়া গিয়াছে। এছাড়াও পিছনের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গিয়াছে। আলামত হিসেবে নিহতের রক্ত, রক্তমাখা দা উদ্ধার করা হয়। হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপÍ কর্মকর্তা(ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু জানায়; সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সহোদর ভাই শামছুদ্দিন ও আ: কাদিরদের মধ্যে পূর্ব বিরোধে এ হত্যা কান্ড ঘটেছে। আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।