তোফাজ্জল হোসেন,নরসিংদি:
“মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুন্যের অভিযাত্রা”বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে ১০ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন ও বেসরকারী মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মিলনায়তনে নরসিংদীতে মানবাধিকার দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত র্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন ৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে হত্যা করে যে মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে ,যা ছিল অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে গুটি কয়েক লোক ছাড়া উক্ত হত্যাকান্ডের পর ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করেনি। আমার পিতা হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করে কারাবরন করেছিলেন। দেশে মানবাধিকার লংগিত হচ্ছে বলেই মানবাধিকার শব্দটি উচ্চারিত হচ্ছে। দুর্নীতি, ক্ষুধা, দারিদ্রের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। আমাদের নিজেকে তৈরী করতে হবে, মানবাধিকার লংগন করব না এ মর্মে আমাদের শপথ নিতে হবে। আজকের তরুণরা মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ আজকের তরুণরা আগামীতে দেশের কর্ণধার হবে। তাদের হাতে মানবাধিকার নিরাপদ হবে বলে আমি মনে করি। সৎ, নিষ্ঠার সাথে দেশ পরিচালনা করে তারা দেশের চিত্রকে পাল্টে দিবে । অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরুল কায়েস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জাকির হাসান,নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহজাহান মিয়া,সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফর আলী ভূঞা, নরসিংদী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম মোস্তাফা মিয়া, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাখন দাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম জামেরী হাসান, পাপড়ির নির্বাহী পরিচালক আবু বাছেদ প্রমুখ।মানবাধিকার দিবসে র্যালী এবং আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নরসিংদী জেলা শাখা সহ বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধি গন । আলোচনা সভার পর জেলা প্রশাসক সেয়দা ফারহানা কাউনাইন সৌদি আরবে নিহতের পিতা হযরত আলীর নিকট সৌদি সরকার কর্র্র্তৃক প্রেরিত চেকটি তুলে দেন। আলোচনা সভার পূর্বে নরসিংদী সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সমগ্র আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনিক সাহা।