মুরাদ হোসেন, মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মেজবাউল ইসলাম হামিদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূর্নীতির আভিযোগ এনে মানববন্ধন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউপি সদস্য মেজবাউল ইসলাম হামিদসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকার ভাতাভোগীরা। গত রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে ইউপি সদস্য এই প্রতিবাদ জানান। মেম্বর মো. মেজবাউল ইসলাম হামিদ লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট যাদের জমি আছে ঘর নাই, তাদের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে ১০ হাজার থেকে ৬০ হাজার, বয়স্ক, বিধবা, অন্তঃস্বত্তা বা গর্ভবতী, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিডি কার্ডসহ নানা প্রকার সহায়তার জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বানোয়াট সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। যাহারা এই মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন তাহারা সবাই আমার ওয়ার্ডের রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের প্রতিপক্ষ। আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করাসহ তাদের হীন-স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে এরকম ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করছে। ডাঃ লিয়াকত আলী ও মো. ঈমান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি আরো বলেন, ডাঃ লিয়াকত আলী উক্ত মানববন্ধনে মিথ্যা, বানোয়াট ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য দেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে আমার কাছে পরাজিত হয়ে প্রতিহিংসায় আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে এ ধরণের বক্তব্য দেন। খালিয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রী শাহিনা খাতুন। মো. ঈমান আলী উক্ত বিদ্যালযের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার সুবাদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহিনার কাছে বিদ্যালয় উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ ২ লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট এই মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন ঈমান আলী। আমি কোনোপ্রকার ভাতা ও সহায়তার কথা বলে কারো নিকট থেকে টাকা গ্রহণ করিনাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ইউপি সদস্য মো. মেজবাউল ইসলাম হামিদ।