মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের মধ্যে সরকারের বরাদ্দ দেয়া খাস জমি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারার অভিযোগ
হাসান আলী, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন গৃহহীন দরিদ্র অসহায় দুস্থ জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর মৌজায় সরকারের বরাদ্দ দেয়া খাস জমি থেকে ১০টি ভূমিহীন পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত উক্ত জমি থেকে ভূমিহীনদের সুপরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদের লক্ষ্যে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং জীবননাশের হুমকিসহ নানা অপতৎপরতা অব্যাহত রাখে একটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী চক্র। গতকাল বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার দাবি জানায় অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাবলু মিয়া উল্লে¬খ করেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের ভগবানপুর মৌজার এসএ ১নং খাস খতিয়ানের ৩৩১ নং দাগের ৭৩ শতাংশ খাস জমির মধ্যে থেকে ৩৬ শতক জমি ৯ জন ভূমিহীনকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ সরকার বরাদ্দ দেয়। এছাড়াও উক্ত জমি থেকে আরও একজন ভূমিহীনকে ৬ শতক জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। ফলে ভূমিহীনরা ওই বন্দোবস্ত জমিতে ঘরবাড়ি তুলে ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু উক্ত জমি থেকে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার জন্য স্থানীয় ভগবানপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম সহ তার সহযোগী একটি ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী চক্র গত ২৫ জুন ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটসহ নানাভাবে ক্ষতিসাধন করে। এ ব্যাপারে গত ২৫ জুলাই পলাশবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং ৫৪৫) দায়ের করা হয়। এছাড়া উক্ত বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ভূমিহীনরা লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করে। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে অসহায় দুস্থ ভূমিহীনরা গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারি জজ (ভার্চ্যুয়াল) আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি মামলা (নং ভিসিঃ ৫/২০২০, অন্য ৩১/২০২০) দায়ের করে। এতে রফিকুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ভূমিহীনদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদানসহ নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ভূমিদস্যুদের ভয়ে ভূমিহীনরা নিরুপায় হয়ে সম্প্রতি তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। শুধু তাই নয়, ওই চক্রটি ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার জন্য পুনরায় গত ২৮ আগস্ট গভীর রাতে বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেসমিন বেগম, শিউলী বেগম, জহুরুল ইসলাম, মনুছুর আলী, মুছা মিয়া, সাহেব মিয়া, এন্তাজ আলী, আমিনুল ইসলাম।