ইয়ানূর রহমান : আবারও পাসপোর্ট যাত্রীদের ভ্রমণ কর ফাঁকি দিয়ে আটক হয়েছে শামিম চৌধুরী নামের (৩২) এক প্রতারক। বেনাপোল চেকপোস্টের সিটি আবাসিক হোটেলের মালিক আলোচিত স্বর্ণ চোরাচালানি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোমিন চৌধুরীর ছেলে শামিম চৌধুরী ভ্রমণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে আটক হয়েছে চেকপোস্ট বন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। এসময় তার কম্পিউটার ও প্রিন্টার মেশিন জব্দসহ বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তাকে আটক করা হয়।
সূত্র মতে, শামিম দীর্ঘদিন ধরে সরকারের রাজস্ব এভাবে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। সে এর আগে গত ১৫ জুলাই ২০২২ইং তারিখে ভ্রমণ কর ফাঁকির অভিযোগে আটক হয়। আর এই ট্যাক্স ফাঁকির দায়ে কাস্টমসের মামলায় কয়েকজন বেনাপোল চেকপোস্টের নিরপরাধী ব্যক্তি হাজত বাস করে। শামিম ঐ মামলায় জামিন পেয়ে থানা থেকে তার জব্দকৃত কম্পিউটার, প্রিন্টার মেশিনসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র এনে আবারও বেনাপোল চেকপোস্টে নিয়োজিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সামনে ভ্রমণ কর ফাঁকির ব্যবসা করলেও কেউ এগুলো নিয়ে মাথা ঘামায় না। সে সকালে যাত্রীদের এসব ট্যাক্স ফাঁকি দিত। কারণ ঐসময় ভারতগামী যাত্রীদের অনেক ভীড় হয় চেকপোস্ট এলাকায়। ভীড়ের চাপে কর্তৃপক্ষ এসব খেয়াল না করার সুযোগে সৎ ব্যবহার করে সে।
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের পিমা নামে একটি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী সাকিবুন নাহার মিম বলেন, আমি যাত্রীদের ভ্রমণ কর ও পোর্ট কর দুটি দেখার সময় সন্দেহজনক মনে হয়। এসময় এপিবিএন পুলিশ, আনসার সদস্যদের বিষয়টি অবগত করা হলে তারা যাচাইবাছাইয়ের পর বিষয়টি জাল প্রমাণিত হয়। পরে শামিমকে আটক করে পুলিশের সহযোগিতায় তার মেশিনপত্র জব্দ করা হয়। এরপর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ নিয়ে যায়।
বন্দরের যাত্রী টার্মিনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসারের পিসি শামছুর রহমান বলেন, শুনেছি এর আগেও শামিমের নামে ট্যাক্স ফাঁকির মামলা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্যাক্স ফাকির দায়ে শামিম নামে একজন প্রতারককে আটক করা হয়েছে। এর আগেও তার নামে জাল ট্যাক্স কাটার অপরাধে মামলা হয়। সে মামলায় বর্তমানে জামিনে আছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে যশোর জেলহাজতে পাঠানো হবে।