যশোর প্রতিনিধি : আধুনিকতার পরশ লেগেছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলে। চলছে উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ। পুরানো বাস ও যাত্রী টার্মিনালের পরিবর্তে নির্মিত হয়েছে সুপরিসর আন্তর্জাতিক বাস ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। পণ্য রাখার শেড ও ইয়ার্ডও বদলে যাচ্ছে। নির্মিত হচ্ছে বিশাল ট্রাক টার্মিনাল। ভারতের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজ হওয়ায় বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচল বেড়েছে বহুগুণ।
প্রাপ্ত সূত্র জানিয়েছে, বন্দরের পরিসংখ্যান মতে ২০১১-১২ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ১২ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৪৯৯ মেট্রিক টন। বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নে ২০২০ সালে টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ২০২২ সালে শুরু হয় ২৪ একর জমির ওপর সুপরিসর ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। একসাথে এখানে এক হাজার ২শ’ পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়াতে পারবে। আগামী জুন মাসে এ কাজ শেষ হবে বলে জানায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা মোজাম্মেল হক।
বেনাপোল স্থলবন্দরে অনুন্নত অবকাঠামোর কারণে রাজস্ব আয় এবং আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নানা প্রতিবন্ধকতা চলে আসছিল দীর্ঘদিন। যে কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়ায় দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল বন্দর ব্যবহারকারীসহ ব্যবসায়ীদের। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই টার্মিনাল নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিল ব্যবসায়ীরা। এই টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে এখানে একসঙ্গে এক হাজার ২শ’ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়াতে পারবে।
অন্যদিকে এই টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে বেনাপোল স্থল বন্দরের চেহারা। বহুমুখী উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে বেনাপোল স্থল বন্দরের চিত্র।
প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, নির্মিত হচ্ছে সুপরিসর টার্মিনাল। যেখানে একসঙ্গে ১২শ’ পণ্যবাহী ট্রাক রাখা যাবে। এছাড়া বাস ও যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। পুরো টার্মিনাল সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির আওতায় আনার কাজও শেষ। বন্দরে সুউচ্চ বাউন্ডারি ওয়াল, স্টাফ ডরমেটোরি ভবন এবং পণ্য পরিমাপের দুইটি স্কেল স্থাপন করা হয়েছে। সব কাজ দ্রুত চলছে। এসব কাজ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা ও রাজস্ব আয় দুটোই বাড়বে।