প্রভাষক শাহ্ রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মেহেদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গাইবান্ধা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ী ফেরার পথে পলাশবাড়ী থানার ঢোলভাংগা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদুল উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের শাহজাহান আলী সাজু প্রধানের ছেলে।
নিহতের ঘটনায় বুধবার দুপুরে উপজেলার বালুয়া বাজার থেকে তিনজনকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ আটককৃতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেন। আটককৃতরা হলেন উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দেবত্তর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩০), সুন্দইল গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ (২৮) ও পলাশবাড়ী থানার দুবলাগাড়ী গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মিঠু মন্ডল (৪০)।
জানা গেছে, গত ২ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেহেদুল গাইবান্ধা থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে পলাশবাড়ী থানার ঢোলভাংগা এলাকায় পৌঁছালে সড়কে খড়ের ওপর মোটরসাইকেল পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত মেহেদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদুলের মৃত্যু হয়।
এদিকে, পরিবারের লোকজন ৩ জুন বুধবার মেহেদুলের লাশ গোবিন্দগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। পরিবারের অভিযোগ মেহেদুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে জহুরুল ইসলাম ও আব্দুল ওয়াদুদ পলাশবাড়ী থানার দুবলাগাড়ী মিঠু মন্ডলের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পরিকল্পিতভাবে মেহেদুল ইসলামকে হত্যা করে দুর্ঘটনা বলে প্রচার করা হয়।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি পলাশবাড়ী থানা এলাকার। তাই আটককৃতদের পলাশবাড়ী থানায় স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে আটককৃতদের পুলিশ পলাশবাড়ী থানায় পাঠায়। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তাদের থানা হেফজতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।