নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পোশাক শ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
রোববার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আইভীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
রায়ের সময় আদালত সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
তিনি জানিয়েছেন, জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি বলেন, “তিনটি হত্যা মামলা ও দুটি মারাত্মক জখমের মামলাসহ সবগুলো মামলা করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর।”
এর আগে গত মে মাসে মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত। গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম। শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ঘটনার দুই মাস পর ২৩ সেপ্টেম্বর নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সেলিনা হায়াৎ আইভী ছিলেন এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি।
এরপর বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা হয়। চলতি বছরের ৯ মে শহরের পশ্চিম দেওভোগে নিজ বাড়ি চুনকাকুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৭ মে মিনারুল হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালত আবারও তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের সর্বশেষ এই রায়ে সাবেক মেয়র আইভীর জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তার মুক্তির পথে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে কি না, তা জানতে রাষ্ট্রপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই নজর রাখছে রাজনৈতিক মহল।



































































