পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মানবতার ফেরিওয়ালা চেয়ারম্যান মঞ্জুর মোরশেদ। তার কার্যক্রমে সকলে সন্তুষ্ট। তার কার্যক্রম দেখে সবাই বলছেন তিনি একজন মানবতার ফেরিওয়ালা। সময় পেলে নিয়মিত যাচ্ছেন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর দরিদ্র অসহায় মানুষগুলোকে দেখতে, তাদের সাথে কথা বলতে। তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা শুনে সেগুলো সমস্যার সমাধান করতে। এলাকার রাস্তা-ঘাট ঘুরে দেখছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পারিবারিক সমস্যা মিটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে সাথে থাকছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম। আর তিনি হলেন নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী।
উপজেলার নিতপুর বংগাল পাড়ায় কয়েকটি দরিদ্র পরিবারের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জনগণের জন্য কাজ করছেন। তার মেয়াদে উপজেলার সকল জনগণের জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। এর ফাঁকে তিনি কিছু দরিদ্র অসহায়দের খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসাবে তিনি বংগালপাড়ার কয়েকটি পরিবারের সাথে দেখা করেছেন এবং তাদের সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান। এভাবে তিনি উপজেলার সকল গ্রামে ঘুরবেন এবং খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। ইতোমধ্যে তিনি উপজেলার কয়েকজন বিধবাকে নিজ তহবিল থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান হিসাবে দিচ্ছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির নির্দেশনায় গৃহহীন পরিবারগুলিকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় কোন গৃহহীন যেন না থাকে সে নিয়েও তিনি কাজ করছেন বলে জানান। তার উপজেলার জনগণ না খেয়ে গৃহহীন থাকবে তা যেন তিনি না দেখেন এ উক্তি করেন। তবে এ উপজেলার উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোাগিতা চান তিনি। অসহায়দের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান। চেয়ারম্যানের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বংগালপাড়ার তুলা রাশি (৯০), ফিতিয়া (৫৭) ও বাবুল আক্তার রানা জানান, এর আগে কোন চেয়ারম্যানকে এভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরতে তারা দেখেনি। বর্তমান চেয়ারম্যান যেভাবে সহযোগিতা করছেন ভবিষ্যতে এভাবেই কাজ করবেন বলে তারা দোয়া করেন।
এছাড়াও কয়েকজন সাধারণ জনগণ জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানের সময় আমরা উপজেলার জনগণ শান্তিতে আছি। তিনি যেসকল কাজ বাস্তবায়ন করছেন তাতে সকলেই খুশি বলে তারা জানান।
অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলায় কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী সৎ, যোগ্য এবং খুব ভাল মানুষ। একজন অধ্যক্ষ হিসেবে তার কোন অবৈধ কার্যক্রম তারা লক্ষ্য করছেন না। রাজনীতিতে এরকম জনপ্রতিনিধিরই দরকার বলে তারা মনে করছেন।