নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যের পতাকাবাহী ৭৩ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় একটি আদর্শ- একটি বিশ্বাস- একটি চেতনা ও মূল্যবোধে পরিণত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে।
বিবৃতিতে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের প্রাচীনতম সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনে অবস্থিত ঐতিহাসিক ‘রোজ গার্ডেন’ প্রাঙ্গণে জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী মুসলিম লীগের প্রগতিশীল কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠা লাভের পর ইতিহাস-ঐতিহ্য সংগ্রাম ও সাফল্যের পতাকাবাহী ৭৩ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় একটি আদর্শ- একটি বিশ্বাস- একটি চেতনা ও মূল্যবোধে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, সংগঠনটি বাঙালি জাতিকে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত- চেতনায় উজ্জীবিত আর নীতিকে বিশ্বাসে পরিণত করে নিজস্ব জাতি-রাষ্ট্র গঠনের মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার সংগ্রাম, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম অতঃপর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সংগ্রামসহ আমাদের জাতীয় জীবনে যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছে। সাত দশকের বেশি সময় ধরে গণমানুষের প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত চার দশকে বাংলাদেশ বাঙালি জাতিকে দীর্ঘ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা এবং দারিদ্র্য ও চরম অনিশ্চয়তার অর্থনৈতিক অভিঘাত থেকে উন্নয়ন ও অগগ্রতির ধারায় উত্তরণ ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এক সময়ের ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ কবলিত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল- আগামীর অপার সম্ভাবনার দেশ।
তিনি বলেন, বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ এক অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির নাম। বাঙালি জাতির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও বিরোধীশক্তি থাকলেও এখন পর্যন্ত দলটির বিকল্প বলা যায় এমন কোনো গণতান্ত্রিক সংগঠন গড়ে ওঠেনি।