ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
দির্ঘ সময় পর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত গর্ভবতীদের সিজার করা শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন যোগ দেওয়ার পর থেকে এই সিজার শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর যোগ দেওয়ার পর থেকে চার প্রসূতিকে সিজার করা হয়েছে। এরআগে এই সিজারের সেবা দেওয়া হলেও তা ছিল অনিয়মিত। হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক থাকলেও তিনি অপারেশন করেন না। এছাড়া হাসপাতালে মূল্যবান এক্স-রে, ইসিজি, ছাকার ও জিএ মেশিন চালু করার ব্যবস্থা করেছেন। ডেন্টাল ইউনিট চালু করা, হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, শোভা বর্ধন ও সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ চলমান রয়েছে। হাসপাতালের প্রসূতী, গাইনী এবং সার্জারী বিভাগের অপারেশন নিয়মিতকরণসহ বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন স্থাপন, হাসপাতালে ফ্লু কর্ণার, দর্শনার্থীদের জন্য ওয়েটিং রুম পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এখন আর মানুষ বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনীকগুলোতে যেতে চায় না। আমি এখানে যোগ দেওয়ার পর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন করা। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগীতা চাই। তিনি আরো বলেন, যেসব প্রসূতিদের নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হয় না তাদের হাসপাতালেই সিজার করা হচ্ছে। এর আগে এ ধরনের প্রসূতি মা’দের স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করা হতো। ৩৩তম বিসিএস দিয়ে স্বাস্থ্য ক্যাডারে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন এবং তার নিজ জেলাল হরিণাকুন্ডুতে যোগদান করেন। এরপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গাইনী বিষয়ে কোর্স শেষ করেন। কালীগঞ্জে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসারের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি আরো জানান, হাসপাতালের নিয়মিত ডিউটির পাশাপাশি চিকিৎসা নিতে আসা লোকদের করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা, করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা লোকদের নমুনা সংগ্রহ করা, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া চিকিৎসার বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি এখন থেকে উপজেলাবাসী সরকারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না।