জাহাঙ্গীর আলম রাজু, চাঁদপুর ঃ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাপাইকাপ ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার ২ শিক্ষার্থী কোচিং ফি না দেয়ায় তাদের বেত দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে শিক্ষক। এ ঘটনায় আহত ওই দুই শিক্ষার্থীর পরিবার আহত অবস্থায় তাদেরকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
৩ নভেম্বর সকালে মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটলেও নির্যাতনের ভয়ে মুখ খোলেনি ওই শিক্ষার্থী। বাড়ীতে এসে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মাদরাসা সুপার ওই অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি মুঠোফোনে জানিয়েছেন।
আহতরা হলো, ওই মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী লোধপাড়া গ্রামের শহীদ উল্যাহ ও নূরে আলমের মেয়ে। বর্তমানে আহত দুই ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীরা জানায়, সকালে আমরা শ্রেণিকক্ষের সামনে খেলছিলাম। এ সময় আব্দুল হালিম হুজুর এসে আমাদের কাছে কোচিংয়ের টাকার কথা জিজ্ঞেস করে। পরে পড়া না পারার অজুহাতে আমাদের প্রচন্ডভাবে বেত দিয়ে মারতে থাকে।
হাসপাতালে আহত ২ ছাত্রীর মা জানান, কোচিংয়ের টাকা সময় হলে দিয়ে দিই। কখনো একটু দেরি হয়। এজন্য হুজুর এতো মারতে পারেনা। পড়া না পারার কারণে হুজুররা মারে কিন্তু টাকার জন্য কোন শিক্ষক কি এভাবে মারতে পারে। এরা তো মেয়ে মানুষ। তাদেরকেতো বিয়ে দিতে হবে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ এটিএম আব্দুল হাই জানান, মাদরাসার পক্ষ থেকে আহত দুই ছাত্রীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মাদরাসার সভাপতি মোঃ শাহাজাহান জানান, ওই শিক্ষককে মাদরাসার চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু জানান, তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত দুই ছাত্রীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।