গোলাম হায়দার, বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা জেলার ১২ লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। বরগুনার বুড়িশ্বর নদীর উপর দিয়ে পুরাকাটা-আমতলী পয়েন্টে সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ। গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সেতু বিভাগের ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের বরগুনা সফরকালে এ তথ্য জানান কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। বাংলাদেশ সড়ক বিভাগের প্রতিনিধি দল প্রথমে পুরাকাটা পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এরপর বরগুনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বরগুনা-১ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভ। বিবিএ’র পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. মোঃ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব রশিদুল হাসান, বাসেক এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদাউস, পায়রা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পিডি তোফাজ্জেল হোসেন, বাসেক’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অহিদুজ্জামান, বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই সংসদ সদস্য এবং বরগুনার জেলা প্রশাসক পুরাকাটা সেতুর প্রয়োজনীতা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন। প্রায় ৩ বছর পূর্বে সেতু বিভাগের প্রতিনিধি দল পুরাকাটা-আমতলী সেতু নির্মাণের জন্য প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই করে। বাসেক এর প্রধান প্রকৌশলী কাজী ফেরদাউস বলেন, প্রয়োজনের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই এই সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপি অনুমোদনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। সেতুটি নির্মাণে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে ধারণা করা হচ্ছে। বরগুনাবাসী জানান, অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি’র বিশেষ অনুরোধ ও কর্মতৎপরতায় পায়রা সেতুর কার্যক্রমে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। আধুনিক বরগুনার রূপকার এবং এতদঞ্চলের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা সাংসদ শম্ভুর এই অগ্রযাত্রা বরগুনাবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছে। আমতলী বরগুনার মধ্যে প্রবাহিত উত্তাল পায়রা নদীর বুকে এই ‘পায়রা সেতু’ ছিল বরগুনাবাসীর প্রাণের দাবি।