শাহ রফিকুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জাহিদ হাসান (৩৬) নামের এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় এবং সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমশপাড়া গ্রামের ফইমুদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের কাপাসিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মরা আজাদুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই একপর্যায়ে জাহিদ মরা আজাদুলের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব হয়। এরপর আজাদুল জাহিদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ লুটপাট চালায়। উক্ত ঘটনায় আজাদুলকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে করে আজাদুল আরও ক্ষিপ্তহয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় আজাদুল জাহিদকে একা পেয়ে হত্যার উদ্যোশে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। স্থানীয়রা জাহিদকে মৃত্যু শয্যায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সে ঘটনায়ও আজাদুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। তারই জেরে মাদক ব্যবসায়ী আজাদুল প্রতিশোধ নিতে পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। গোবিন্দগঞ্জ থানার এএসআই শওকত জামান তার কথা মত জাহিদকে ধরতে মাদক ব্যবসায়ী শাহারুল ইসলামকে সোর্স নিয়োগ করে। পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার দুপুরে সুকৌশলে সোর্সকে দিয়ে জাহিদকে বাড়ী থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে ডেকে নেয়। এদিকে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ জাহিদকে সামনে পাওয়া মাত্র আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জাহিদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার এএসআই শওকত জামান বলেন, আমি সোর্স শাহারুলের কথা মত সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে আজাদুল, জাহিদ ও শাহারুল উপস্থিত ছিল। এসময় তারা দু’জন পালিয়ে গেলেও জাহিদকে আটক করা হয়। তবে এএসআই শওকত জামানের বক্তব্যে অসংগতি রয়েছে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান, এখন জাহিদকে ছেড়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে আজাদুল, শাহারুল ও জাহিদের নামে ২০০ পিস ইয়াবা কারবারির মামলা করা হবে। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।