হোমনা (কুমিল্লা)প্রতিনিধি
হোমনা উপজেলার ঘাড়মোড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার বিকালে ইউনিয়নের মণিপুর বাজারে ও রাত আটটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম পার্শ্বের সড়কে ঘাড়মোড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থী একেএম মনিরুজ্জামান ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইদুর আলম অপুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মো.আবুল কালাম (৩৮), ইব্রাহিম মিয়া (২৪), আব্দুল জলিল (২৪), আমির হোসেন জিল্লুর (৪০), মো. জুয়েল (৩৮), মফিজুল ইসলাম, (৩৮) ইকবাল হোসেন (২৬), হোসেন মিয়া (৪০) খান সাব (৩০) ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইদুর আলম অপু। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আবুল কালামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। আর বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পর রাতেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইদুর আলম অপু এবং আওয়ামীলীগ সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে হোমনা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শাহীন (৪১) মনির হোসেন প্রকাশ, ছোট মনির (৩৪) ও স্বপনকে (৩৪) গ্রেফতার করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এব্যাপারে আওয়ামীলীগ প্রার্থী একেএম মনিরুজ্জামান মনির বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করে তাদের আহত করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুর আলম অপু জানান, মনিপুর বাজারে আমার গণসংযোগ চলাকালে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে আমার কর্মীদের আহত করেন। পরে তাদেরকে হোমনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর রাতে আমি আহতদের দেখতে হোমনা হাসপাতালে গেলে নৌকার সমর্থকরা আবারো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করে। এ অবস্থায় আমি আমার জানের নিরাপত্তা চাই। হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষের পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ৯ ইউপির ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।