নিজস্ব প্রতিবেদক
শেবাচিম হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন এসিড পান করা রোগী নিপা হাওলাদার ।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রোগীকে পানি ভেবে দাহ্য পদার্থ (এসিড) সেবন করানোর অভিযোগ উঠেছে সেবিকাদের বিরুদ্ধে।
এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ওই রোগীকে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসিড পান করা রোগী নিপা হাওলাদার (২২) কলাপাড়া পৌরসভার বাদুড়তলা এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও নির্মাণ শ্রমিক পুলক হালদারের স্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হলেও মুখের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
নিপার স্বামী পুলক হালদার জানান, নিপা গর্ভবতী ছিলেন। তার শারীরিক সমস্যার কারণে এমআর করাতে শুক্রবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এমআর করনোর পরে সেবিকা সালমা বেগম নিপাকে ওষুধ খাওয়াতে বলেন। এ সময় পানির কথা বললে একজন আয়া একটি পানির বোতল এগিয়ে দেন। কিন্তু এগিয়ে দেয়া মাম পানির ওই বোতলে দাহ্য পদার্থ থাকার বিষয়টি জানতেন না কেউ।
তিনি বলেন, দাহ্য পদার্থ মুখে ঢালার সঙ্গে সঙ্গে তার গলা, পেট ও মুখের ভেতরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ সময় তার চিৎকার শুনে চিকিৎসকরা এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পুলকের সহকর্মী আহসান হাবিব জানিয়েছেন, নিপা মুখ থেকে দাহ্য পদার্থ ফেলে দিলে তার কিছু পরিমাণ সেবিকা সালমার মুখের ওপর পড়ে। এতে সেও আহত হয়।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, নিপাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত। তবে পুরেপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।