এম.টুকু মাহমুদ (হরিণাকুণ্ডু) ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ( কোভিড – ১৯) । যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। দেশে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের অসহায় হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ। সরকারের পাশাপাশি এসব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। হতদরিদ্র কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ নানা সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড সহ চলছে প্রচার প্রচারণা।লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে মৃত্যুর মিছিল।থেমে গেছে কোলাহল, নেই কোনও শোরগোল। কোথাও কোথাও দেখা গেছে রিক্সা চাল্ক, ভ্যান চালক,ইজিবাইক চালক,ড্রাম ট্রাক চালক,আলমসাধু,নছিমন চালক পাখিভ্যান চালকদের কর্মহীন অসহায়ত্ব। কেউ আবার নুন্যতম সহযোগীতা পেয়েছে যা অপ্রতুল।ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর দখলপুরের পাখিভ্যান চালক শামিম, আলম, আনজের সহ আরো অনেকেই বলেন,রাস্তায় কোনও জনমানব নেই এই ভ্যান চালিয়ে আমাদের সংসার চালাতাম কিন্তু এখন চাল কিনারও কোনও টাকা নাই আমরা এখন পর্যন্ত সরকারের কোনও সহযোগীতা পাইনি।দিগনগরের এমনই এক ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল্লার সাথে কথা হয় তিনি জানান আমি এই ট্রাক চালিয়েই আমার দরিদ্র বাবা মায়ের সংসারের যাবতীয় খরচ নির্বাহ করতাম।আমি তো সরকারের নির্দেশ মেনেই গাড়ি চালানো বন্ধ করেছি কিন্তু এখন আমার পরিবার চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। শুনেছি সরকার অনেক সহযোগীতা করছে কিন্তু আমি তো এই সুবিধা এখনও পেলাম না।এব্যপারে গাড়ির মালিক লামইয়া মটরস্, বিশিষ্ঠ্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান এল,বি,লিটনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে আমার সোনার বাংলাকে সুরোক্ষিত রাখতে সরকারের নির্দেশ মেনেই শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিষোধ করেই ছুটি দিয়েছি। এদিকে ড্রাম ট্রাক চালক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রাণঘাতী অদৃশ্য শক্তি মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে আমি ঘরেই আছি দেখে সরকার আমাকে ১০ কেজি চাউল,ডাউল, তেল,আলু সহ খাদ্যদ্রব্য দিয়েছেন। এব্যপারে বিশিষ্ট্য সাংবাদিক এবং অন্যদৃষ্টি নিউজ পোর্টাল-এর বার্তাসম্পাদক বলেন দিনমুজুর, খেটে খাওয়া ক্ষেতমুজুর, নির্মান শ্রমিক, শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের দুঃস্থ মানুষের জন্য করোনা ভাইরাস সংক্রমন জনিত সময়ে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। মজুতদার, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী মুনাফা লোভীদের দমন করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী রাখা একান্ত জরুরী।