নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস ব্যাপক বিস্তারের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন বড় ধরণের বিপর্যয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বলে বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছেন। এই প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করবে বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশগুলোতে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। আর করোনাভাইরাসের এ সময় মানুষের যাতে খাদ্যাভাব না হয় সেজন্য কৃষির উপর জোর দিয়েছে সরকার। এর কারণে কৃষকদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজদিখানে বিভিন্ন সবজি চাষে এবারও বাম্পার ফলন হলেও উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক হতাশায় ভুগছেন। আর সময়মত সবজি বিক্রি করতে না পারায় কৃষকেরা ব্যাপক লোকসানে পড়েছেন। উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের মাঠ জুড়ে করলা, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, কহি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা চাষে এবারও বাম্পার ফলনের দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা যায়, বাজারে ৩০ থেকে ৪০ কেজি টাকা বিক্রি হয়। আর জমিতে ৭ থেকে ১০ টাকা বিক্রি হয়। আর কিছুদিনের মধ্যে বর্ষার পানি চলে আসবে। কৃষকদের জমিতে ফসল নষ্ট হচ্ছে এর ফলে কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।
উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চন্দনধূল গ্রামের কৃষক সুজিত পাল বলেন, প্রতি মৌসুমেই বিভিন্ন রকমের ফসল আবাদ করি নিজের জমিতেই। কখনো লাউ, কখনো টমেটো, কখনো শিম বা শসা। এবছর চাষ করছেন করলা মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, কহি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা। এবছর বাম্পার ফলন হলেও উপযুক্ত দাম না পেয়ে কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকদের কৃষি পণ্য বিক্রি করতে সমস্যা হয়েছে। এর কারণে দাম একটু কম পেয়েছে। তবে এখন লকডাউন উঠে গেছে। কৃষকরা ঠিকমত সবজি বিক্রি করতে পারবে এবং দামও ভালো পাবে। এবার ফলন খুব সুন্দর হয়েছে।