নিজস্ব প্রতিবেদক
“নিরাপদে মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”- এই শ্লোগানে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ (২৩-২৯ জুলাই ২০২২) উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য দপ্তরের অফিস কক্ষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে সাবেক সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা যুধিষ্ঠির রঞ্জন পালের সঞ্চালনায় এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানার সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সংবাদ সম্মেলন ও মাইকিং, র্যালী, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, মৎস্য পুরস্কার প্রদান, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, প্রান্তিক মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময়, অবৈধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মৎস্যজীবীদের পরামর্শ ও সেবা প্রদান, পুকুর ও পানি পরীক্ষা, সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ, মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ৭.৫৪ লাখ মেট্রিকটন। ৩৭ বছরের ব্যবধানে ২০২০-২১ সালে এ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬.২১ লাখ মেট্রিকটন। অর্থাৎ এ সময়ের ব্যবধানে মোট মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে ছয়গুণের কাছাকাছি। সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মৎস্যজাত উৎস থেকে প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানী আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরো বলেন, মৎস্যখাতের অনন্য সফলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এগুলো হলো- জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের আবাসস্থল উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সহনশীল আহরণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ মাছ সরবরাহ এবং মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদুর রহমান যুবায়ের, আরিফ হোসেন হারিছ, হামিদুর রহমান লিংকন, নাছির, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মিজানুর রহমান, আজাদ বিন নাদভী, আজিম হাওলাদার প্রমুখ।