নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেজন্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারী সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারী সমাজের সার্বিক মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
গতকাল ৬ জুলাই বুধবার বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক মোর্শেদা বেগম লিপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নারীনেত্রী খালেদা খানম, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হামিদা বেগম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মেহেরুন নেছা নাজমা, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা ফরিদা ইয়াসমিন, মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহাসীনা হক কল্পনা, আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান শরীফ, মিরকাদিম পৌরসভার প্যানেল মেয়র বাদশা মিয়া প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বাঙালি জাতির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা রাইফেল হাতে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেয়া, সন্তান ও স্বামীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠানো, যুদ্ধের খবর সংগ্রহসহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনকে সহজতর করতে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছিল বাংলার নারী সমাজ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার নারী সমাজের উন্নয়নে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সময় নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এদেশের অর্থনীতিতে নারী সমাজের অংশগ্রহণ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী সমাজ। একটি জাতির অর্ধেক অংশকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেজন্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারী সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। নারী সমাজের সার্বিক মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।