সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে সুমাইয়া শিমু নামের এক নারীকে। সাদিক তাকে ব্যবহার করে ব্লাকমেইল করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাদিক প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিশ। সাদিকের বিরুদ্ধে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র রাখা, চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফি মামলাসহ চারটি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ের চার লাখ টাকা।জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র জানান সাদিক ও শিমুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর আজ বুধবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সাতক্ষীরার আদালতে পাঠানো হয়েছে
উল্লেখ্য : গত ৩১ অক্টোবর কালিগঞ্জের পাওখালিতে বিকাশ এজেন্টের ২৪ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এই ছিনতাই চক্রের মাস্টার মাইন্ড সাদিকুরের দুই সহযোগী সাইফুল ও মামুনুল ইসলাম দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। এর পর থেকে সে ছিল পলাতক। সংগঠনের শৃংখলা বিরোধী কাজের সাথে জড়িত থাকার দায়ে সৈয়দ সাদিকুরকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সাথে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই জন প্রতিনিধির পর্নোগ্রাফি আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় জয়যাত্রা টেলিভিশনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও আমার এমপি ডটকমের সদর আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির (অ্যাম্বাসেডর) আকাশ ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গ্রেফতার আকাশসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায় করে আসছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।