শাহ রফিকুল ইসলাম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় হতে উপজেলা পর্যায়ে দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন চল্লিশ দিনের কর্মসূচি চালু করে সরকার। কিন্তু এবারে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে কোন্দ্বলের কারণে নির্ধারিত সময় শেষ হলেও কর্মসূচির কার্যক্রম শুরুই হলো না। এতে করে খেটে খাওয়া দরিদ্র নারী-পুরুষ আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন চল্লিশ দিনের কর্মসূচির ২৩০ জন দরিদ্র ব্যক্তির নামের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন ইউপি চেয়ারম্যান। উক্ত নামের তালিকা জমাদানের পর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য আক্কাস আলী ও বাবু মিয়াসহ কয়েকজন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান মনগড়া মত তার পছন্দের লোকজনকে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের অনেকে কাজে আসেনা। অথচ তাদের নামের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যান। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আলম বুলবুল বলেন, আমার পছন্দ মত নয়। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা দরিদ্র এবং সবাই উপস্থিত থাকে। তারা যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সঠিক নয়। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হবে। কর্মসৃজন নামের তালিকায় থাকা শামিম ও লিটু মিয়া জানান, তালিকায় আমাদের নাম রয়েছে। কিন্তু আমরা তো কোনো টাকা পাইনা। এ টাকা কে বা কারা তুলে নেন। দরিদ্র নারী আলেছা বেগম ও আঞ্জু বেগম অভিযোগ করে বলেন, গতবার আমাদেরকে কাজ দেয়া হয়েছিল। এবারে আমাদের নাম বাদ দিয়ে নামের তালিকা করা হয়েছে। এতে করে সংসারে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, উপরোক্ত তালিকা বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। নামের তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে। এখানে প্রকৃত দরিদ্র নারী-পুরুষরাই কাজ করতে পারবেন। অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে তালিকা দেয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়নে অদ্যবধি কাজ শুরু করা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত কাজ করতে না পারলে বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফেরত যাবে।