শরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখিপুরে ফাঁসিতে মাওলানা শেখ ফরিদ (৪৫) নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। এটি কি আত্নহত্যা নাকি হত্যা এ নিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। তিনি ছিলেন মাওলানা। একদিন আগে ঝুমুর নামে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করায় আত্মহত্যা যে মহাপাপ তিনি তা হাদিস ও কোরআন এর আলোকে বয়ান করেন। জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বোয়ালী মাদরাসার নিজ বিশ্রামাগারে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শেখ ফরিদ বোয়ালী হামিউস্ সুন্নাহ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় (মোহতামিম) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, বোয়ালী পশ্চিম পাড়া ইতালি মসজিদের পেশ ইমাম এবং নলুয়া আড়ালিয়া পাড়া গ্রামের মৃত ছলিম উল্লাহর ছেলে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। জানা যায়, গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বোয়ালী বাজারের চা স্টলে চা পান করে তার নিজ কর্মস্থল বোয়ালী হামিউস্ সুন্নাহ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় যান। দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় এক দোকানদার কিতাব আলী ওই মাদরাসার সামনে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে দরজার ফাঁক দিয়ে শিক্ষককে তার বিশ্রামাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সখিপুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এলাকার লোকজন জানায়, ইমাম সাহেব যে ধরনের অমায়িক লোক, ধার্মিক, আমলকারী সে হিসাবে তিনি আত্মত্যা করতে পারেন না। সখিপুর আলেম ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা সাইফুল্লাহ বেলালী ও সাধারন সম্পাদক মাওলানা আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, একজন আলেম কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা এর সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করছি। নিহতের ভাগিনা জাহিদ বাদী হয়ে তার মামাকে হত্যার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। জাহিদ বলেন, সর্বশেষ মামা ফোনে জানিয়েছিল, মাদরাসার পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঝামেলা চলছে। এ কারণে আমার মামাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ধর্নার সাথে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখিপুর থানার এসআই আজিজুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।