স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভী বাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের দিকে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল গোটা মৌলভী বাজার। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় সূর্যাস্তের পড়ে বইতে থাকে মৃদু বাতাস, রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। পাহাড়ি জনপদ ও হত দরিদ্ররা খড়কুটো ও শুকনো কাঠে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্ঠা করছেন। আর শীত পড়ার সাথে সাথে শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। অতিথি পাখি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এ জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। গত শুক্র, শনিবার সহ ছুটির দিনগুলোয় পর্যটক, দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়বে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। শ্রীমঙ্গলর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ রুহুল বলেন, গত বৃহস্পতি বার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় ভিড় বাড়ছে। নিম্ন আয়ের লোকজনের ভরসা ফুটপাতের পুরনো কাপড়ের ওপর। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান বলেন, ‘দুইটি উপজেলার চা শ্রমিক ও গরিব দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের কাছে আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’ শ্রীমঙ্গলের রাবেয়া বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। শীতের কাপরের যে দাম আমাদের পক্ষে শীতের নতুন কাপড় কেনা সম্ভব হয়না। তাই প্রতি বছর খোলা বাজার থেকে শীতবস্ত্র কিনে আমরা ঠাণ্ডা নিবারণ করে থাকি।’ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও কর্তব্যরত ডা: সুব্রত সিংহ বলেন, ‘উপজেলায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিন ২০-২৫জন শিশু ও বয়স্করা সর্দি, জ্বর, ও কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে।’ শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নজরুল ইসলাম ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশেকুল হক এ প্রতিনিধিকে বলেন, এলাকার শীতার্ত, দুঃস্থ, অসহায় মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।