এস এম সাব্বির, গোপালগঞ্জ :
শুরু হয়ে গেছে শীতের আমেজ। প্রতিবছর শীত এলেই গোপালগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজার, শহরের মোড়ে মোড়ে আদিকালের ঐতিহ্য চিতই ও ভাপা পিঠার ব্যবসা করেন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা। চলতি সময়ে শীতকালিন চিতই পিঠা এবং ভাপা পিঠা বিক্রি করে গোপালগঞ্জ সদরসহ টুঙ্গিপাড়া, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় সংসার চালাচ্ছে অর্ধহাজার পরিবার। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বিকেল থেকে এসব পিঠার দোকানগুলি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পিঠা বিক্রি করে। অস্থায়ী দোকানগুলিতে চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি। প্রতিটা চিতই পিঠা এবং ভাপা পিঠা বিক্রি হয় পাঁচ থেকে দশ টাকায়। বিকেল বা সন্ধ্যায় মানুষের ক্ষুধা নিবারন যেমন হয় তেমনি শহরের মানুষ এসব পিঠার স্বাদ নিতে পারছেন। বর্তমানে মানুষের ব্যস্ততা আর সময়ের অভাবে এখন আর ঘটা করে বাসা-বাড়িতে এসব পিঠা তৈরী করতে পারছেন না। পিঠা তৈরীর দিনে বাড়িতে যেন একটা উৎসবের আমেজ বয়ে যেত। সে দিনগুলো অনেকের কাছে এখন শুধুই সৃত্মি। গোপালগঞ্জ শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় বেশ কয়েক বছর যাবৎ ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কুসুম বেগম (৪০)। তিনি বলেন, প্রতিবছর শীতে পিঠা বিক্রি শুরু করি। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। পিঠা তৈরীর উপকরন এবং জ্বালানী খরচ বাদে যে লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকার পিঠা বিক্রেতা তাসলিমা বেগম (৫০)। তিনি শুকনা চিতই পিঠার সাথে কালোজিরা, ধনিয়াপাতা এবং সর্ষে বাটা তুলে দেন খদ্দেরদের হাতে। বিক্রি বেশ ভালোই হয়। প্রতিদিন ৬’শ থেকে হাজার টাকা বিক্রি হয়। খরচা বাদে যা থাকে তা সংসার চালাতে ব্যয় হয়।