শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত আশা রানী হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করেছে। গত বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে বানাইল শ্মশান ঘাটে মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি মামলা গ্রহণ করেছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে নিহতের মা শ্রীমতি সন্ধ্যা রানী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিআইবি), র্যাব-১২, ডিবি বগুড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (শিবগঞ্জ সার্কেল) তানভীর হাসান বলেন, হত্যাকান্ডটি রহস্যজনক হওয়ায় তার বাড়ির শয়নকক্ষে আশার মৃতদেহের শারীরিক অবস্থার সুরতহাল প্রতিবেদন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের মহিলা কনস্টেবল দ্বারা বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন নির্ধারণ করে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে নিহতের মা সন্ধ্যা রানী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের প্রেক্ষিতে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্বসহ পুলিশ প্রশাসন পর্যবেক্ষণ করছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের নিকট মৃতদেহ সৎকারের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ইনচার্জ আব্দুর রউফ রলেন, ক্লুলেস হত্যাকান্ড হলেও পুলিশ মামলার অগ্রগতিতে ব্যাপক তৎপর রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত করা হবে।