মাসুদ রেজা ফিরোজী,মাদারীপুর প্রতিনিধি:
শিক্ষকতা করার কারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী কামাল মাদবরের বিরুদ্ধে। এর কারণে গত ২৩ জানুয়ারী রাতে স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে শিবচর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে একটি কিন্ডার গার্ডেটেনের শিক্ষিকা ফারজানা আক্তার (২৩) নামের ঐ গৃহবধূ। পরে ভুক্তভোগী পরিবার নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার চরচান্দ্রা বাবুর আলী মল্লিক কান্দি গ্রামের মৃত ফয়জল মাদবরের ছেলে অভিযুক্ত কামাল মাদবর। ভুক্তভোগী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে ফারজানা আক্তার নামের ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে স্বামী কামাল মাদবর। তার বখাটে স্বামী পড়তে না দেওয়া, শিক্ষকতা পেশায় চাকরি করতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়শই ফারজানা আক্তারের উপর নির্যাতন চালায়ে আসছে। এ বিষয় নিয়ে কয়েক দফা হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছে ফারজানা আক্তার। কামাল মাদবর তার ৪ বছরের পুত্র সন্তানের সামনেই মাঝে মাঝে ফারজানা আক্তারকে নির্যাতন ও মারধর করত। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার স্ত্রী ফারজানা আক্তার অভিযোগ বলেন, বেশকয়েকবার শালিস বৈঠকে ভালো হয়ে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আবার নির্যাতন করতেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফারজানা আক্তার আরো জানান, বিয়ের পর থেকেই প্রায়শই তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় আমার স্বামী। আমি কেন পড়াশোনা করি, কেন শিক্ষকতা করি? এ নিয়ে প্রায়শই মারধর করে। বিয়ের পর অনেক কষ্ট করে আমি এইচএসসি পাশ করেছি। আমি চাই আরো পড়াশুনা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবো। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে পড়াশুনা করতে বাধা দেয়। এই ব্যাপার নিয়ে মাঝে মাঝেই আমাকে নির্যাতন করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কামাল মাদবরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কামালকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।