শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ধানুকা এলাকায় একটি মাছের খামারের (বড় দীঘি) মাছ গতকাল মঙ্গলবার মরে ভেসে উঠেছে। হঠাৎ করেই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে ওঠায় দীঘির ভিতর আগাছা ফেলে পাইলিং করে মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী মৎস্য চাষিরা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর যাবৎ শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকায় মৎসচাষী আমিনুর রহমান আমান ও তার ভাই হাবিবুর রহমান স্থানীয় একটি মাছের খামারে (বড় দীঘিতে) রুই, কাতলা, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করে আসছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঐ দীঘির মাছ মরে ভেসে ওঠে। প্রথমে দুই, একটি করে মাছ ভেসে ওঠে। একপর্যায়ে দীঘির অনেক মাছ মৃত অবস্থায় পানির উপরে ভেসে ওঠে। তাদের মতে সোহেল ও শাহিন (সরকার) নামের দুই ব্যক্তি সম্প্রতি ওই দীঘির কিছু অংশ ক্রয় করে গাবগাছসহ আগাছা দিয়ে পাইলিং করে। আর ভালোভাবে পাইলিং না করেই তাতে ময়লা-আবর্জনা ও আগাছা ফেলে ডোবা ভরাট করার চেষ্টা করে। এ কারণেই পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা গেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মৎস্যচাষি আমিনুর রহমান আমান বলেন, সকালে দীঘি পরিদর্শনে গিয়ে দেখি অনেক মাছ মরে ভেসে উঠছে। আমরা প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করি। এ বছর আমাদের সব শেষ হয়ে গেলো। আমরা এ ঘটনায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে জানিয়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।