আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনির সদর উপজেলার উত্তর বলাবাড়িয়া গ্রামের ধনাঞ্জয়ের শিশু শ্রেণীতে পড়ুয়া সৈকত প্রতিদিন কাদা-পানি ঠেলে আশাশুনি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে আসে। শুধু সৈকত নয় তার এলাকার শতাধিক শিক্ষার্থী আশাশুনির বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে লেখা পড়া করতে আসেন। কিন্তু তাদের রাস্তায় কাদামাটি থাকার কারণে স্কুল পোশাক ও বই ভিজে যাওয়া নিত্য দিনের ব্যাপার। নিজ সহপাঠীদের কথা ভেবে এলাকাবাসীর পক্ষে (৯ ডিসেম্বর) বিকালে আশাশুনি উপজেলা চত্ত্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাফা কামালের কাছে রাস্তা মেরামতের জন্য আবেদন দেয়।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৬ মে জ্বলোচ্ছাসে আশাশুনির সদর উপজেলার দয়ারঘাট স্লুইসগেট ভেঙ্গে আশাশুনি সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়। এর পর থেকে আড়াই বছর জলাবদ্ধতা থাকে এই এলাকায়। এরপর থেকে উত্তর বলাবাড়িয়া তিন কিলোমিটার রাস্তায় এখন মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এই এলাকায় কোন স্কুল কলেজ না থাকায় এখানকার শিক্ষার্থীদের আশাশুনির বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি স্কুলে আসতে হয়। কিন্তু রাস্তার কারণে তাদের প্রতিদিন বিপাকে পড়তে হয়। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাকে নিয়ে আসার মতো যানবাহনও প্রবেশ করতে পারেনা। সুপেয় পানির অভাবও তাদের নিত্যা দিনের সঙ্গী। নিজ সহপাঠীদের কথা ভেবে এলাকাবাসীর পক্ষে আশাশুনি উপজেলা চত্ত্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাফা কামালের কাছে রাস্তা মেরামতের জন্য আবেদন দেয় শিশু সৈকত। শিশু সৈকতের আবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উত্তর বলাবাড়িয়া গ্রামের রাস্তা দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিফ রেজা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী প্রমুখ।