* পঁচে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ
* বাড়ছে মশার উপদ্রব
* ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেই কার্যকরী পদক্ষেপ
* ডাস্টবিন সংস্কারের দাবী
* অতি দ্রুত খাল পরিষ্কার করা প্রয়োজন
রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর রতনপুর আবাসিক এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা পাউবোর খালে ফেলছেন অসচেতন ভাড়াটিয়াগণ। এছাড়াও খালের উপর গড়ে উঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে খালে। এতে ময়লা আবর্জনা পঁচে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। এদিকে এ বিষয়ে কোন তদারকি না থাকায় এবং দীর্ঘদিন থেকে খাল পরিষ্কারে রামগঞ্জ পৌরসভাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে খালটিকে দেখে মনে হয় এটি কচু ক্ষেত এবং পুরোখালটি কচুরিপানা দিয়ে ভরপুর। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে।
অভিযোগ রয়েছে, আবাসিক এলাকার ডাস্টবিনটি কালো কাপড় দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে একটি মহল। এদিকে প্রতিটি বাড়ির নিচে ময়লা আর্বজনা রাখার জন্য নির্দিষ্ট প্লাস্টিকের ড্রাম থাকলেও সেজন্য প্রতি ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টাকা করে দিতে হয় ভাড়াটিয়াদের। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই টাকা দেওয়ার ভয়ে সেই ড্রামে ময়লা না ফেলে খালে ফেলেন। আবার অনেকে আছেন নির্দিষ্ট ড্রামটি ভর্তি হয়ে গেলে ইচ্ছে করেই ময়লা খালে ফেলেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য রতনপুর আবাসিক এলাকা সংলগ্ন জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার সামনে এবং আবাসিক এলাকার মর্নিং সান কিন্ডারগার্ডেনের সামনে রামগঞ্জ পৌরসভার দুইটি ডাস্টবিন রয়েছে। কিন্তু তার একটির দশা বেহাল, অপরটি কালো কাপড় দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে একটি মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রতনপুর আবাসিক এলাকার কয়েকজন ভাড়াটিয়া জানান, পৌরসভা থেকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর প্রতিটি বাড়ির নিচে ড্রামে ময়লা রাখার জন্য যে টাকাটা ভাড়াটিয়াদের দিতে হয় সেটা বাড়িওয়ালাদের দেওয়া উচিত।
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, আপাতত খালটির আবাসিক এরিয়ার অংশটি রামগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে পরিষ্কারসহ এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। রতনপুর আবাসিক এলাকায় ভাড়াটিয়া তাপস চন্দ্র দাসসহ অনেকেই জানান, খালটি পরিষ্কার করা জরুরী।
লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রতনপুর আবাসিক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মামুন আল রশিদ রুবেল বলেন, ডাস্টবিন দুইটি অতি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন এবং স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন আরেকটি ডাস্টবিন পৌরসভা থেকে স্থাপন করলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
রামগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, আমি তাদের স্ট্রেট বলেছি, খালে ময়লা না ফেলার জন্য। তারা খালে ময়লা ফেলবে কেন? নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখলে পৌরসভার লোক সকালে নিয়ে আসবে। টাকা কে নেয়, এ বিষয়ে জানিনা। ডাস্টবিনগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। খালটি তো পাউবোর, তারাই পরিষ্কারের ব্যবস্থা করবে।