এম এ রহমান, যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড পাচঁ নম্বর যার মধ্যেই পড়ে যশোর সদরের সরকারি প্রায় সবকটি কার্যালয়। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এই এলাকার মধ্যে যশোর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৗশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও এর প্রশাসকদের সরকারি বাসভবন অবস্থিত। এছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে পৌরসভা ভবন, পুলিশ লাইন, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস, শহরের সবচেয়ে বড় গোরস্থান (কারবালা কবরস্থান), যশোর শহরের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি এমএম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সার্কিট হাউজ, জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুসলিম একাডেমি, ফাতিমা হাসপাতাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, যশোর ক্লাব, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, শিল্পকলা একাডেমি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়, ক্যাথলিক চার্চ ছাড়াও বহু অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যশোর জেলার আরো দুটি এলাকাকে নতুন করে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে। এলাকা দুটি হলো যশোর শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এবং অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়ন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই এলাকায় এখন সাধারণ ছুটি কার্যকর হবে। একইসঙ্গে লকডাউনও করা হবে। তবে গোটা ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন লকডাউন না করে যেখানে করোনা রোগীর অবস্থান, সেই এলাকাও সুনির্দিষ্টভাবে লকডাউন করা হতে পারে। লকডাউন বাস্তবায়নের কাজ করে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, যশোর জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৭০ জন। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩০ জন, মারা গেছেন দুইজন।