স্পোর্টস ডেস্ক : সাম্প্রতিক ব্যর্থতার গ্লানি মুছে অবশেষে জয়ের হাসি ফিরলো ইন্টার মায়ামির মুখে। আজ বাংলাদেশ সময় সকালে সিএফ মন্ট্রিয়লকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় মায়ামি। দলের হয়ে দুটি করে গোল করেন মেসি ও সুয়ারেস। পাশাপাশি একটি করে অ্যাসিস্টও করেন দু’জনই, দুটোই ছিল চোখ ধাঁধানো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের আট ম্যাচে মাত্র একটি জয় পাওয়া মায়ামি এই জয়ে কাটিয়ে উঠেছে লিগে টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার হতাশাও।
এই ম্যাচের আগে এমএলএসে সুয়ারেসের গোল সংখ্যা ছিল মাত্র দুই। এবার ডাবল গোল করে সেই বিবর্ণতার জবাবও দিলেন উরুগুইয়ান তারকা। বিশেষ করে প্রথম গোলটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৫০০তম ক্লাব গোল, যা এসেছে প্রায় তিন সপ্তাহ পর। মায়ামির মাঠে অবশ্য শুরুটা মন্ট্রিয়লেরই ভালো ছিল। অষ্টম মিনিটেই গোলের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ন্যাথান সালিবা। তবে বাঁকানো শটটি পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। ২৭তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেন মেসি। সের্হিও বুসকেতসের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নিচু কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। ৩০ মিনিটে গোল শোধের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন মন্ট্রিয়লের জ্যাকোবো ভ্রিওনি। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে তার আরেকটি প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে মায়ামি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ৫৯তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে জাদুকরী এক পাস দেন মেসি। তাদেও আইয়েন্দে সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। এর কিছুক্ষণ পর মেসি নিজেও নষ্ট করেন সহজ সুযোগ। ৬৮তম মিনিটে মন্ট্রিয়লের দান্তে সিলির শট রক্ষা করে দলকে বিপদমুক্ত করেন মায়ামির গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। পরের মুহূর্তেই আসে পাল্টা আক্রমণ, যেখান থেকে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুয়ারেস-মেসির নিখুঁত পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে সহজ ফিনিশিংয়ে। ৭১তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার জর্জ ক্যাম্পবেলের ভুলে আরও একটি গোল তুলে নেন সুয়ারেস, এতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-০। তবে মন্ট্রিয়ল সহজে হার মানেনি। ৭৪তম মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে জটলার মধ্য দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান দান্তে সিলি। ৮৭তম মিনিটে আবারও দৃশ্যপটে আসেন মেসি। এবার সুয়ারেসের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে মন্ট্রিয়লের রক্ষণ ভেদ করে গোলকিপারের ওপর দিয়ে দারুণ চিপ শটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে মন্ট্রিয়ল আরেকটি গোল শোধ করলেও তা কেবল ব্যবধানই কমায়। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আর আদায় করতে পারেনি সফরকারীরা। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ষষ্ঠ স্থানে উঠেছে ইন্টার মায়ামি। বিপরীতে ১৬ ম্যাচে মাত্র এক জয় পাওয়া মন্ট্রিয়ল ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।