নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সীমানাবর্তী সোনারগাঁয়ের চরকিশোরগঞ্জ এলাকা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরে চরকিশোরগঞ্জ ও চর হোগলা এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ৫টি দোতলা টিনশেড রেস্টুরেন্ট, ১২টি দোকান ও বালুর গদিসহ ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চর কিশোরগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে বাঁধা দিয়ে হামলা চালালে ২ জনকে আটক করে জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তারের নেতৃত্বে বেলা ১১টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় অভিযান শেষ হয়। অভিযানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র মেঘনাঘাট নদীবন্দরের উপ-পরিচালক শরীফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় অবৈধ দখলদারদের বাঁধা ও হামলার সম্মুখীন হন। রেস্টুরেন্ট মালিক, শ্রমিক ও এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে অভিযানে হামলা চালিয়ে ঢিল ছুঁড়ে একটি ভেঁকু ভাংচুর করে। এসময় কিছুক্ষণ উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ এসে দু’জনকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযানে রূপসী চাইনিজ রেস্তোরাঁ, দি মুন লাইট ক্যাফে এন্ড রেস্তোরাঁ, ওয়াটার ক্রুস রেস্তোরাঁ ও দি ফুডল্যান্ড রেস্তোরাঁ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে চর হোগলা এলাকায় নদী দখলকাজে নিয়োজিত একটি ড্রেজার ও এর পাইপ এবং গাছের গুঁড়ি দিয়ে নদী দখলের উদ্দেশ্যে নির্মিত গাছের গুঁড়ির পাইলিং ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে হামলা চালানোর অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটককৃত ১ জনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত হলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি চর কিশোরগঞ্জের মনির হোসেনের পুত্র।
এ অভিযানের বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ মেঘনা ঘাট নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ১০০টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আটককৃত একজনকে ম্যাজিস্ট্রেট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছেন। গতকাল বুধবার ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।