জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছেÑ মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল মুন্সীগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা আজ পূরণ হল। আমরা সকলে আজ আনন্দে উদ্বেলিত। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। মুন্সীগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাননীয় আইনমন্ত্রী আপনাকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ প্রকল্পটি সমাপ্ত করার জন্য। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও নির্যাতনের শিকার দুই লক্ষ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। হাজার বছরের পরাধীনতা শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীন ভূ-খন্ড, নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা। স্বাধীনতা লাভের ১ বছরের মধ্যেই জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রধান ৪টি স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সন্নিবেশিত করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই অনন্য সংবিধানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেন। এজন্য তিনি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।”
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গণতন্ত্র বিরোধীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। হত্যা করা হয় জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যকে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবৈধ সেনাশাসকরা ক্ষমতা দখলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যায়। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে হত্যা করে কারফিউ, হত্যা, ক্যুর মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে। ১৫ আগস্টের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে দেশের গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য তারা জনগণের পবিত্র দলিল সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আশার বাতিঘর, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পিতার মতোই গগনচুম্বী দৃঢ়তা ও মানসিক শক্তি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে; চার দশক পর একাত্তরের নরঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন হচ্ছে এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছেÑ মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।