অধিকাংশ মোবাইল চোরই মাদক সেবনকারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে মাদকসেবীদের দমনে হার্ডলাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুন্সীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেনের নির্দেশে মুন্সীগঞ্জ ডিবি ও সদর থানা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। যারা মাদক বেচাকেনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। প্রতিদিনই কোন না কোন স্থান থেকে মাদক কারবারী ও সেবনকারী ধরা পড়ছে। রাজনীতিতে জড়িত এমন ‘কথিত বড় ভাই’দের নাম বললেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের দমন করতে হার্ডলাইনে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর গোয়েন্দা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মাদক কারবারীদের। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, শহরের খালইষ্ট মোড়, পাঁচঘরিয়া কান্দির নতুন রাস্তা, মুক্তারপুর, রামপাল, সিপাহীপাড়া, ধলাগাঁওসহ পঞ্চসার ইউনিয়নে মাদক কারবারীরা সক্রিয় রয়েছে। আর এসব এলাকা থেকে ডিবি পুলিশের অভিযানে সম্প্রতি অনেক মাদক কারবারী আটক হয়েছে। গত মঙ্গলবার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর এলাকা থেকে ১৮০ পিস ইয়াবার বড়িসহ ৩ জন আটক হয় ডিবি পুলিশের অভিযানে। ৬ অক্টোবর মাঠপাড়া থেকে ৩০ পিস ইয়াবা বড়িসহ একজন আটক হয়। গত ২২ জুন গাঁজাসহ আটক হয় দু’জন। কযেকদিন পরপর বিভিন্ন স্থান হতে আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এসব অভিযান পরিচালনা করে আসছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোজাম্মেল হক মামুন জানান, মাদককের সাথে জড়িতদের ধরতে হার্ডলাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাদকের সাথে জড়িত ছেলে হোক মেয়ে হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মাকহাটি এলাকা থেকে তিন গাঁজা সেবনকারীকে আটক করা হয়েছে। মাদকের বিস্তার ঠেকাতে প্রতিদিন গোয়েন্দা পুলিশের টিম সক্রিয় রয়েছে। কার সন্তানরা কে কী করছে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন মাদকের সাথে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান জানান, মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের ধরতে সদর থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, চলতি বছরে বেশ কিছু চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে আর মোবাইল চুরির সাথে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। চলতি বছরে মোট ৪০টির মতো চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে এসব চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা প্রকৃত মালিকদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২২টি মোবাইল চুরির মামলা হয়েছে সদর থানায়। যাদের আটক করা হয়েছে বেশীরভাগই বয়সে তরুণ এবং মাদকসেবী। মাদক সেবনের অর্থ জোগাড় করতেই তারা মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটায় এমনটাই অনুসন্ধানে বের হয়েছে। বেশীরভাগ মাদক সেবনকারীরা মোবাইল চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছি এবং অভিযান পরিচালনা করছি। মাদকের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, মুন্সীগঞ্জে অনেক মাদক স্পট রয়েছে এগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। ঐসব স্পটে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হচ্ছে মাদক কারবারী ও মাদকসেবীদের। আমাদের অভিযানে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া হয় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে। মুন্সীগঞ্জ জেলাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।