মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) থেকে
ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম মাহ্ফুজুর রহমান নুরুজ্জামান বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের সরকারী কোন চাকুরি হতো না। চাকুরি হতো রাজাকারের সন্তানদের। তিনি আরও বলেছেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সেনাবাহিনী ও সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কর্মকর্তাদের উপর অনেক জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিলেন।
নুরুজ্জামান বলেছেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায়, চিকিৎসার অভাবে মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করেছিলেন। জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আজ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পাশে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় মুকসুদপুর থানা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়ার সভাপতিত্বে এবং মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) খোন্দকার আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী (ভূমি) অমিত কুমার সাহা, সাপ্তাহিক মধুমতি কন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুর রহমান লেবু, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান ও মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ। পুলিশ মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যুদ্ধকালীন সময়ের রণাঙ্গনের ঘটনাগুলো তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এরপর মুকসুদপুর থানার পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।