কাজী পাপড়ি-মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মভূমি গর্বিত গোপালগঞ্জ জেলা। গোপালগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা হচ্ছে মুকসুদপুর উপজেলা। এই উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বসাবস করে থাকে। ১টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুকসুদপুর উপজেলা। মুকসুদপুর উপজেলায় কয়েক লক্ষাধিক গবাদি প্রাণী, হাস, মুরগি এবং কয়েক হাজার ছোট বড় গরু ও ছাগল পালনের খামার রয়েছে।
সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় ১জন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ১জন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা ও ১জন উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা থাকার নিয়ম রয়েছে।
সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মমিন মুকসুদপুর উপজেলার দায়িত্ব রয়েছে। সমগ্র উপজেলা ব্যাপী তিনি একাই দায়িত্ব পালন চলছেন।
মুকসুদপুর উপজেলায় মুকসুদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ ডা: অভিমান্য চন্দ্র ১ বছর ২৬ দিন দায়িত্ব পালনের পর গত ১৮-০৪-২০২৩ তারিখে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বদলিজনিত কারনে প্রায় ৫ মাস যাবৎ পদটি শূন্য রয়েছে। ২০১৯ সাল হতে প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তার পদটি শূন্য রয়েছে।
এই উপজেলায় কয়েক লক্ষাধিক গবাদি প্রাণী, হাস, মুরগি, ছাগলসহ বেশ কিছু খামার রয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার মুকসুদপুর উপজেলার অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মুকসুদপুর হতে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের দুরত্ব প্রায় ৬০/৬৫ কিলোমিটার। অফিস সূত্রে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলা হতে গোপালগঞ্জ জেলা অফিসের দুরত্ব অনেক বেশী হওয়ায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার মুকসুদপুর অফিসে আসা খুবই কম পড়ে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের গো-খাদ্য উৎপাদন সহ পশু পালন বৃদ্ধির লক্ষে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মুকসুদপুর উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অফিসে সিনিয়র দুইজন কর্মকর্তা না থাকায় এলাকার গবাদী প্রাণী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে করে গবাদি প্রাণী সহ পশু পালন দিন দিন এলাকায় হ্রাস পাচ্ছে।
মুকসুদপুর উপজেলার গবাদি প্রাণীসহ সকল প্রকার প্রাণীর সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা দ্রুত নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।