মো: সোহানুর রহমান সোহাগ, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:
একজন মানুষ মহৎ হয়ে ওঠেন তার কর্মগুণে। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের কর্ম, ধ্যান-জ্ঞান, অর্জন সবকিছু উৎসর্গ করেন দেশের স্বার্থে, মানুষের কল্যাণে। নিঃস্বার্থভাবে করেন মানুষের উপকার, দেশের কল্যাণ। তারা কর্তব্য কাজে ফাঁকি না দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এমনই একজন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার। দক্ষ ও সাহসী কর্মকর্তা সুজন সরকার কর্মক্ষেত্রে ও সমাজ পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করছেন। কখনো তিনি শিক্ষক আবার কখনো বিচারক হয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন সমাজে চলা অনিয়ম, দুর্নীতি রুখতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে সঠিক পথ চিনাতে যাতে তারা সু-শিক্ষিত ও প্রকৃত মানুষ হয়ে সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের চৌকস এ কর্মকর্তা খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার দক্ষিণসলুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা সুধাংশু সরকার ও মাতা বীণা সরকার। তিনি ২০১০ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করেন এবং ৩৩ তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৪ সালের ৭ই আগষ্ট নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। ২০১৮ সালে আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষনে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ায় মালয়েশিয়া সফরের সুযোগ লাভ করেন। একই বছরে তিনি সাতক্ষীরা জেলার সেরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ শে জুলাই মহেশপুর উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন এবং সেই সাথে ১৫ই অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকতার দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তিনি উপজেলা ভূমি প্রশাসনে দালালমুক্ত, ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানীমুক্ত ভূমি সেবা প্রদানসহ অনেক সামাজিক কাজ করে চলেছেন। অফিসে ফ্রি ফরম সেন্টার ও সততা ষ্টোর প্রতিষ্ঠা করেছেন। রেকর্ড রুমকে করেছেন আধুনিক। যে কোন তথ্যের জন্য বসিয়েছেন তথ্য সেবা কেন্দ্র। বাল্যবিবাহ রোধ, ভেজাল প্রতিরোধ, ক্লিনিক ও ঔষধের দোকান মনিটরিং, মাদক নির্মূলে অভিযান, অবৈধ বালু উত্তোলণ বন্ধ, অবৈধ ইট ভাটা বন্ধকরণ, হোটেল, মুদি দোকানের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সরকারী রাজস্ব আহরণে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। আর এসব কারণেই বহু মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি। মানুষের অধিকার রক্ষায় তার অভিযাত্রার বিরাম নেই। ক্ষমতার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবহারের সুবর্ণ সুযোগ অগ্রাহ্য করে, প্রলোভনের হাতছানি উপেক্ষা করে, বাঁধা-বিঘ্ন্ন দু-পায়ে দলে তার অভিযাত্রা তার একারই সংগ্রাম। আমরা কেবল জানাতে পারি শুভকামনা সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সস্তানের জন্য। কবির ভাষায় বলতে হয় ‘মোমবাতি হওয়া সহজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়’।