মিজানুর রহমান, ভোলা প্রতিনিধি
ভোলার মেঘনা নদীতে গতকাল বুধবারও বন্ধ হয়নি ট্রলার ও স্পীডবোট চলাচল। করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে সকালে ট্রলার ও স্পীডবোটযোগে শত শত যাত্রী গাদাগাদি করে চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ভোলায় আসে। এতে করে একদিকে যেমন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তেমনি বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনারও আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের জোরালো কোন তৎপরতা ছিলো না। তবে সকালে নৌ পুলিশ ২টি যাত্রীবাহী ষ্টিলের ট্রলার ৪ জন চালকসহ আটক করেছে। স্থানীয় সূত্র জানান, ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকার ক্ষমতাসীন দলের নেতারা একটি চক্র দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন ভোলার ইলিশ থেকে চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। লকডাউনের কারণে সকল লঞ্চ, সি ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে ৩ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে একটি চক্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজ করে ট্রলার স্পীডবোট চালাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অসাধু ট্রলার ও স্পীডবোটের মালিকরা মোটা অংকের টাকার বিনিময় অবৈধভাবে ট্রলার চালাচ্ছে। যে কারণে গত ২ দিনেও বন্ধ করা যায়নি ট্রলার ও স্পীডবোট চলাচল। এছাড়াও ঘাট ইজারাদার গ্রুপের লোকজনও এসবের সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এসব চক্র লকডাউনের ফলে নিষিদ্ধ নৌযান দিয়ে প্রতিদিন মানুষকে পারাপার করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় ইতোমধ্যে গত সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ভোলা আসার পথে তলা ফেটে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু অন্য একটি ট্রলারের সহায়তায় অর্ধশতাধিক যাত্রী অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পায়। তবে ভোলা ইলিশা নৌ পুলিশের ওসি সুজন চন্দ্র পাল জানান, তারা অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীবাহী ২টি ট্রলারের চালকসহ ৪ জনকে আটক করেন। তাদেরকে মোবাইল কোর্টে প্রেরণ করা হবে। ভোলা নদী বন্দরের সহকারি পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলার মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোনে সি সার্ভে ছাড়া সকল ধরনের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ। অবৈধভাবে ট্রলার স্পীডবোট চলাচল বন্ধের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চিঠি দেয়া হয়েছে।