মিজানুর রহমান, ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা-বরিশাল-ঢাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ ভেদুরিয়া-লাহার হাট, ইলিশার জংশন-লক্ষীপুরের মৌজচৌধুরীর হাট রুটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে ৪টি ফেরি। লকডাউনে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি চালু রয়েছে। নৌরুটে ভোলা যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নাই বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকায় ভোলা-ঢাকাগামী যাত্রীদের ১০ গুণ বেশী ভাড়া গুনতে হয়েছে। পথে পথে দিতে হচ্ছে চাঁদা। গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ঘরমুখো ভোলাগামী যাত্রীদের পাশাপাশি ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলার দিয়ে যাত্রীরা নৌপথ পার হচ্ছে। তার জন্য তাদেরকে লঞ্চ ও বাসের চেয়ে ১০ গুণ বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে। শিশু-কিশোরী, যুবতী, বৃদ্ধসহ মহিলা যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। ভোলা ও ঢাকাগামী যাত্রীদের ঘাটে এসে দুর্ভোগে পড়তে হয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায়-থ্রি হুইলার, বোরাক, মিশুক, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে ১০ গুণ বেশী ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। পথে পথে দিতে হচ্ছে চাঁদার টাকা, যাত্রীরা সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। সিন্ডিকেটের মূলে রয়েছেন ট্রাফিক ও হাইওয়ের পুলিশ বলে জানান যাত্রীরা। ঢাকা থেকে শুরু করে ভোলা এবং ভোলা থেকে ঢাকা পৌঁছা পর্যন্ত, ট্রাফিক ও হাইওয়ের পুলিশ সিন্ডিকেট তৈরী করে পথে পথে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলেন বলে কায়ছার আহম্মেদ নামের এক যাত্রী জানান। বিআইডবিউটিসি’র জংশন ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ভোলা-বরিশাল-ইলিশা-মৌজচৌধুরীর হাট নৌরুটে ৪টি ফেরি চলছে। ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। তবে ছোট গাড়ির সংখ্যা কম। ঘাট এলাকায় ভোগান্তির উত্তর কেউ দিতে পারেননি।