ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ওভারব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয় পথচারীদের। এতে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় অনেক পথচারী ইতোমধ্যে মারাও গেছেন। অনেকেই আবার পঙ্গুত্ব বরণ করে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। শিশু ও নারীরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আবার পথচারীরা দল বেঁধে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। আবার পথচারীদের বে-খেয়ালি পারাপরে গাড়ি চালকরাও অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে বলে জানান চালকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এসময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, গাড়ি চালকরা তাদের গতিতে চালায়। ব্যস্ততম এ সড়কে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকলেও রাস্তা পার হওয়া যাবে না। তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হতে হয়। ওভার ব্রিজ থাকলে আমরা এমন করে রাস্তা পার হতাম না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার সড়কের কয়েকটি পয়েন্টে ফুটওভার ব্রিজের দাবি ভুক্তভোগীদের।
ভরাডোবা হাইস্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, অনেক কষ্ট করে বাচ্চা নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়, আতঙ্ক কাজ করে মনে। আজ যদি ফুটওভার ব্রিজ থাকতো তাহলে চিন্তা থাকতো না। ভরাডোবা স্টেশনে অতি দ্রুত ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করার দাবি করেন তিনি।
পোশাক কারখানার শ্রমিক ইমদাদুল বলেন, হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি। কেননা, এখানে দিনে হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা পার হয়। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ভালুকা পরিবেশ আন্দোলনের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান বলেন, মহাসড়কের ভালুকার থানার মোড়, সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে, ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাজার, স্কয়ার মাস্টার বাড়ি, হাজির বাজার এই পয়েন্টগুলোতে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। আমি আশা করি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি জনস্বার্থে বিশেষভাবে নজর দিবেন।
ময়মনসিংহ, সওজ, সড়ক সার্কেল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রাশেদুল আলম জানান, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভালুকায় জনসংখ্যা বেশি। ফুটওভার ব্রিজের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। বরাদ্দ পেলে এসব পয়েন্টে পর্যায়ক্রমে ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।