মোঃ আকছেদ আলি, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ প্রায় দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গুড়া-টু খাদ্যগুদাম ঘাট রেল লাইন অযত্মে-অবহেলায় মাটির নিচে চাপা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব সম্পদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় দিনের পর দিন বাংলাদেশে রেলওয়ের এই রেল লাইনের মূল্যবান সম্পদ হলেও তা মাটির নিচে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেইসাথে বেদখল হয়ে গেছে রেল লাইনসহ লাইনের দু’পাশের অনেক জায়গা। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, উপজেলার ভাঙ্গুড়া স্টেশন হতে ভাঙ্গুড়া খাদ্যগুদাম পর্যন্ত ঘাট রেল লাইন একসময় জাঁকজমকভাবে চালু ছিল। যা স্থানীয় ভাষ্যে, প্রায় দেড় কিলোমিটার এই ঘাট রেল লাইন নামে খ্যাত ছিল। একসময় রেল পথে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে এই পথেই ভাঙ্গুড়া খাদ্য গুদামে মালামাল ট্রেনে করে আনা নেওয়া হত। কিন্তু কালের বিবর্তনে সড়ক পথ চালু হওয়াতে এই রেল পথটি বর্তমানে আর ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গুড়া স্টেশন থেকে বর্তমান খাদ্য গুদাম ঘাট রেল লাইন প্রায় দেড় কিলোমিটার অব্যহৃত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ লাইনগুলো পরিত্যক্ত থাকায় একদিকে যেমন অযত্মে-অবহেলায় মাটির নিচে চাপা পড়ে বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে তেমনি অনেকটা বেদখল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের এই পথ ও পথের আশপাশের জায়গা। কেউবা এসব জায়গা দখল করে নির্মাণ করছেন বহুতল ভবন। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে এই রেল লাইনটির উপর দিয়ে খোয়া মাটি ফেলে ভরাট করে কার্পেটিং করে (পিচ ঢালাই) রাস্তা করেছেন। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাটির নিচেই চাপা পড়ে বিলুপ্ত হতে বসেছে। এই অবস্থা যেন দেখার কেউ নেই।
স্থানীয়দের দাবী, এই রেল লাইনটি সংস্কার করে পুনরায় চালু হলে সড়ক পথের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচে ভাঙ্গুড়া খাদ্য গুদামে মালামাল পরিবহনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবেই সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কাজে লাগত। অথবা সরকারের যদি এই প্রায় দেড় কিলোমিটার ভাঙ্গুড়া স্টেশন টু খাদ্যগুদাম রেল পথ প্রয়োজন না হয় তাহলে রেল পথটি তুলে নিলেই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট বা বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেত। অপরদিকে রেলওয়ের পক্ষ থেকে এই রেল লাইনের দু’পাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ এ এলাকাজুড়ে মার্কেট গড়ে তুললে একদিকে রেলের রাজস্ব আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে অনেক বেশি, অপ দিকে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে এলাকার বেকার যুবসমাজ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলের জায়গা কারোর দখলের সুযোগ নেই। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।