চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভূতের মোড়ে যমুনায় আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় এক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে। নদী ভাঙ্গন তীব্রতায় চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়ি ও ভূতের মোড়ের দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে অন্যত্র। ভাঙ্গন কবলে পড়েছে চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় পয়লা দাখিল মাদরাসা, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, চরসলিমাবাদ দক্ষিণপাড়া কবরস্থান, বাকুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ডজন খানেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ি। স্কুল ঘর, বাড়ি-ঘর ও দোকান পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।
নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে অনেকেই গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে ছাপড়া দিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করছেন। স্কুলের টিন সরিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার, রাস্তা ও বাড়ির উঠানে রাখা হয়েছে। উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এলাকার স্কুল ভেঙ্গে যাওয়ায় ও ভাঙন কবলিত এসব কোমলমতি শিশুদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে দরকার জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা আরো বৃদ্ধি করা।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, একদিক থেকে সঠিকভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ না করায় আজ চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় লন্ডভন্ড।
ভূতের মোড় এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নামমাত্র জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোঃ মিল্টন ঐ এলাকা পরিদর্শন করেন।
জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা না হলে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর অব. আব্দুল্লাহ আল মামুন এর বাড়ি, চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, হাই স্কুল ও দাখিল মাদরাসাসহ এলাকা হুমকিতে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, নদীর পাড় ঘেঁষা বিদ্যালয়ে আগে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল এখন ১০০ থেকে দেড়শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। বাড়িঘর হারিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এদিকে চৌহালীর খাষপুখুরিয়া হতে চর সলিমাবাদ পর্যন্ত নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ গত ২ জুন উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
চৌবাড়িয়া কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার এ শিক্ষাঙ্গন একাধিকবার ভাঙন কবলে পড়েছে। বহু কষ্ট করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে পাঠদান সচল রাখা হয়েছে। এখন আবার হুমকির মুখে পড়েছি। দ্রুত বাঁধের কাজ না হলে চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হবে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে এবং নদীর তীর সংরক্ষণে স্থায়ী বাঁধ বাস্তবায়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম মোল্লা বলেন, ভূতের মোড় এলাকা রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রাখা দরকার। বসতি ও শিক্ষাঙ্গন বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান সর্বমহলের।