নিজস্ব প্রতিবেদক : বড়াইগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ওয়াশব্লক নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ দিন না যেতেই ছাদে ফাটল দেখা দেয়াসহ আনা অসঙ্গতি ফুটে উঠেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয়রা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বারিখৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর ভাগল নয়াহাটের মেসার্স শামীম ট্রেডার্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে মাত্র ১৫ দিন আগে হস্তান্তর করে। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার না মেনে যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার সরজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ওয়াশব্লকের নিচ তলা ও দোতলার ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনের প্লাস্টার ও রঙ হাতের ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে। দরজার প্লেনশিট পাতলা ও নিম্নমানের, এমনকি টয়লেটের দরজার প্লেনশিটে ৩-৪টি করে ছিদ্র রয়েছে। কোনো কোন দরজা ভেতর থেকে আটকানোর ছিটকানি নেই, আবার কোনটার ছিটকানি থাকলেও দেয়ালে তা আটকানোর জায়গা করা নেই। ছিটকানি সমস্যা ও দরজায় একাধিক ছিদ্র থাকার কারণে অধিকাংশ টয়লেটই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারছেন না। পানির ফিটিংস, ট্যাপ ও বেসিন নিম্নমানের, ব্যবহারের আগেই একাধিক ট্যাপ বিকল হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার পরও ঠিকাদার ও তার লোকজন নিম্নমানের কাজ করেছে, যা দুঃখজনক। আমি সঠিকভাবে কাজ করে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
ঠিকাদারের ম্যানেজার টুকু মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা দেখে শুনে বুঝে নিয়েছেন। এখন দায়িত্ব তাদের।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, কাজ আমরা বুঝে নিয়েছি, তবে এমনটি তো হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, আমি এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে যেসব সমস্যা আছে তা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।