অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তিনি প্রায় পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছেন।
শনিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর খালেদা জিয়া তেমন অসুস্থ নন যে তাকে বিদেশে নিতে হবে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর রকম বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে- সেই অধিকার উনার নেই। কারণ উনি কি ডাক্তার? উনি ডাক্তার নন, তিনি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বলছেন। তিনি বলেন, আমরা বলছি যে, রাজনৈতিক দৃষ্টি থেকে বাইরে আসুন, মানবিক হোন। যেখানে দেশনেত্রী একেবারে সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেছেন হেঁটে। সেখানে তিনি এখন বিছানা থেকে নিজে উঠতে পারেন না। এটা বাস্তবতা। সেই কারণে আমরা বলি এ রকম মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অর্থই হচ্ছে প্রকৃত সত্য থেকে দূরে রাখা। যে কথাটা আমরা আশঙ্কা করছি এভাবে দেশনেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এই কাজগুলো তারা করছে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের একথা বলায় আমরা একেবারে বিস্মিত হয়েছি। উনি যখন অসুস্থ ছিলেন তাকে আমরা হাসপাতালে দেখতে গেছি, তিনি বিদেশে গেছেন আমরা তার আশু মুক্তি কামনায় দোয়া করেছি। তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী যে চুক্তিগুলো সম্পাদন করে এসেছেন এই চুক্তিগুলো অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। আজকে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেবো তথ্যগুলো জানানোর জন্য যে, কি ধরনের চুক্তি হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, একই সঙ্গে তথ্য অধিকার যে আইন আছে সেই আইনকে সামনে নিয়ে আমরা তথ্য কমিশনের কাছেও চিঠি দেবো–চুক্তির বিষয়গুলো জানার জন্য।
বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।