বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভূমিহীনদের ভূমি অধিকার ও সরকারি খাস (কৃষি) জমি বন্দোবস্ত জটিলতা নিরসনে সাংবাদিকদের ও সুধীজনদের সাথে ভূমিহীনদের মতবিনিময় সভা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের এর মাধ্যামে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে জনসংগঠনের উপজেলা ভূমিহীন সমন্বয় কমিটির আয়োজনে ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (সিডিএ) এর সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় জনসংগঠনের উপজেলা ভূমিহীন সমন্বয় কমিটির সভাপ্রধান বিনয় চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নিতাই সাহা লেলিন, বিকাশ ঘোষ, তোফাজ্জল হোসেন, সিডিএ এর বীরগঞ্জ-কাহারোল অফিস সহকারী কাম হিসাবরক্ষক রফিক ইসলাম, জেলা ভূমি সমন্বয় কমিটির সভাপ্রধান তাঁরা মিয়া, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী সন্তোষ রায়, মাঠ পরীবিক্ষক স্বদেশ রায়, কুমোরপুর ইউনিটের সভাপ্রধান ও উপজেলা মৎস্যজীবী সমন্বয় সমিতির সভাপতি নরেন চন্দ্র দাস, গ্রাম সহায়ক আমিনুল ইসলাম ও গ্রাম সহায়ক প্রয়গাম আলী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গ্রাম সহায়ক মো. আমিনুল ইসলাম। এসময় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের জনসংগঠনের গ্রাম সভা প্রধানগণ ও ভূমিহীন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভূমিহীনরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত সিডিএ এর সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে গ্রামভিত্তিক ৯০টি জনসংগঠনের মোট ৭ হাজার ৩ শত ২১ জন। নারী ৩ হাজার ৬ শত ৫০ ও পুরুষ ৩ হাজার ৬ মত ৭১ জন। আমরা দরিদ্র ও ভূমিহীন। আবাদযোগ্য জমি বলতে আমাদের কিছু নেই, এমনকি অনেকের বসতভিটা পর্যন্ত নেই। আবাদযোগ্য জমি না থাকায় অনাহার উপবাস আমাদের নিত্য দিনের সাথী। মাথা গোঁজার জন্য যে ঘরটি আছে সেটি অন্যের জমিতে হওয়ায় আমরা অনেকেই উচ্ছেদের ভয়ে সর্বদা আতঙ্কিত থাকি। অথচ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলির মধ্যে বাসস্থান হলো অন্যতম। সেইলক্ষ্যে ভূমি অধিকার ও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত জটিলতা নিরসনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আমরা স্মারকলিপি প্রদান করেছি। উল্লেখ্য যে, এই উপজেলার ১নং খতিয়ানভুক্ত জমি শিবরামপুর ইউনিয়নে ১৬৯.২৬ একক, শতগ্রামে ৮৭. ৩৫ একক, পাল্টাপুরে ৯.৩২ একক, সুজালপুরে ১০০.৮৭ একক, নিজপাড়ায় ৭৯.৩৭ একক, মোহাম্মদপুরে ৮১.৭৭ একক, ভোগনগরে ৭.১৬ একক, সাতোরে ৩.৪৬ একক, মোহনপুরে ১৪০.৮৬ একক ও মরিচায় ২৪.৬১ একক রয়েছে।