বীরগঞ্জে জমি ও দোকানঘর নিয়ে বিবাদে মেয়ের মামলায় মা আসামি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ হাট চান্দিনায় বাসুদেবপুর মৌজার ১০৫ খতিয়ানের ২৫৫ দাগের ৪ শতাংশ জমি মরহুম রফিকুল ইসলামের মা মরহুম রমিজান বেওয়া তার জীবদ্দশায় পুত্রবধু মোছা. আসেমা বেগম(৬৩) কে ১৯৮৩ সালে ৯৪৬৫ নম্বর দলিল মূলে হস্তান্তর করেন। জমি প্রাপ্ত হওয়ার পরবর্তীতে উল্লেখিত জমিতে দুটি টিনসেড পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেন আসেমা বেগমের স্বামী। দোকান ঘর নির্মাণের পর তাদের জামাতা আমিনুল ইসলাম ও বাবুল মৌখিক ভাড়া শর্তে সেখানে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করা কালিন সুযোগ বুঝে জামাতাদ্বয় জমির মালিক সহজ সরল অশিক্ষিত শ্বাশুড়ি আসেমা বেগমকে ফুসলিয়ে বীরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রেরি অফিসে নিয়ে গিয়ে অসিয়ত নামা দলিলের স্থলে প্রতারনা পুর্বক তাদের স্ত্রী দেলোয়ারা ও ফাতেমা’র নামে ২০০৮ ইং সনে ২৩৬৫ নম্বর হেবা দলিল মুলে লিখে নেন এবং দোকানঘর গুলো অন্যত্র মোটা অংকের টাকা জামানত নিয়ে জনৈক শহিদুল ইসলাম ও ইমান আলী’র নিকট ভাড়ায় প্রদান করেন। জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার আসেমা বেগমের কোন পুত্র সন্তান নাই, তিনি ৭ কন্যার জননী, সকলেই বিবাহিতা।কিন্তু প্রতারকের খপ্পরে এখন আসেমা বেওয়া মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে প্রতিবেশী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা অকপটে স্বীকার করেছেন। অসহায় বৃদ্ধ আসেমা বেওয়া জানান, নিজের শেষ সম্বল ৪ শতাংশ জমি ও দোকানঘর ২টি আত্মসাত করার জন্য তারই ওরসজাত লোভী দুই কন্যা ও দুই জামাতা কতিপয় টাউট বাটপারের প্রকাশ্য ও গোপন মদদে নিজের মেয়েকে বাদী সাজিয়ে মা আসেমা সহ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত অপর ৫ মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা, অপমান-অপদস্ত, হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে। অতি সম্প্রতি বিবাদের জেরে সংঘর্ষে বোনে – বোনে বাদী হয়ে পাল্টাপাল্টি মামলায় বৃদ্ধ মা আসেমাকেও আসামী করা হয় এবং আসেমা বেওয়া কর্তৃক ২০০৮ ইং সনে প্রতারণামূলক যোগসাজশি, মিথ্যা তথ্য মুলে বানোয়াট দলিল বাতিলের জন্য ইতোমধ্যে জেলা দিনাজপুর বীরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা নম্বর-৩১৭/২০২১ (অন্য) দায়ের করেন বলেও জানান। থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সমঝোতার মাধ্যম্যে জামানতের টাকা ফেরৎ দিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম ও ইমান আলী কে অপসারণ করলেও দোকান ঘর প্রায় মাসাধিক কাল যাবত তালাবদ্ধ রেখে চাবি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এর কারন বোধগম্য নয় বলে জানান আসেমা বেওয়া ও তার পাঁচ কন্যা। আদালতের আদেশ ছাড়া কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে চাবি পুলিশ হেফাজতে রাখা আইন সম্মত কিনা সচেতন মহলের প্রশ্নের জবাবে জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ ওবাইদুল ইসলাম বলেন এটি স্পষ্ট আইন বহির্ভূত, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকা ছাড়া কিছুই নয়। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলালের সহায়তায় ভাটাটিয়া শহিদুল ইসলাম ও ইমান আলী তাদের জামানতের টাকাসহ সকল মালামাল ফেরৎ পেয়েছেন মর্মে স্বীকার করেছেন। বিধবা অসহায় মহিলা আসেমা অবিলম্বে তার শেষ অবলম্বন ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টিসহ ন্যায় বিচার কামনা করেছেন।